নদীর জল কমতে শুরু করায় এ বার ভাঙন শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায়। যদিও ডুয়ার্সের ময়নাগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের কিছু এলাকায় এদিন নতুন করে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। কোচবিহারে ২০টি ত্রাণ শিবির খুলতে হয়েছে।
বিপদসীমা থেকে জল অনেকটাই কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তা নদীর লাল সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
কালজানি, রায়ডাক নদীতেও জল কিছুটা কমে বিপদসীমার কিছুটা নীচ দিয়ে বইছে। তিস্তা-রায়ডাক-সঙ্কোশে ভাঙন শুরু হওয়ায় বিপদগ্রস্ত ডুয়ার্স ও কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। শামুকতলার ধারসী এবং পূর্বচকচকা এলাকায় রায়ডাকেও ভাঙন শুরু হয়েছে। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, “বৃষ্টি কমায় বেশিরভাগ নদীতেই জল কমতে শুরু করেছে। তবে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন পরিস্থিতিতে নজর রাখা হয়েছে। ডুয়ার্সের এবং কোচবিহার থেকেই বেশি ভাঙনের খবর পাওয়া গিয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।” |
তবে উত্তর দিনাজপুরের নাগর বা কুলিক নদীর জল এদিনও বিপদসীমা ছুঁয়ে বইছে। সকালে নাগর নদীর জল উপচে জেলার পানিশালা থেকে করণদিঘি এলাকা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে
বইতে শুরু করে। কুচিডায়না নদীর জলে খেরকাটা গ্রাম থেকে নাগরাকাটা বাজারে এ দিনও নৌকা নিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
ময়নাগুড়ির পদমতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া, বাধেঁরকালী এলাকায়ও নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সানিয়াজান নদীর জলে বন্দি হয়ে পড়েছেন এলাকার প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা। জলের তোড়ে এলাকার চারটি কালভার্ট ভেঙে গিয়েছে, উপড়ে গিয়েছে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। এলাকার প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ৯টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতে নদীতে জল বাড়তে শুরু করলে ডাঙাপাড়া, গুয়াবাড়ি, সিপাইবাড়ির মতো গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেন বলে দাবি করেছেন। |