বন্ধ শিল্পের শ্রমিক আর্জি জানালে ভাতা তিন মাসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের কোনও বন্ধ কারখানার শ্রমিক আবেদন করলে তিন মাসের মধ্যে তাঁর ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নৈহাটির বন্ধ গৌরীপুর জুট মিলের শ্রমিকদের ভাতা সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
গৌরীপুর জুট মিল বন্ধ হয়ে যায় ১৯৯৭ সালে। ওই চটকলের কিছু শ্রমিক অনাহারে মারা যান। সেই সব শ্রমিক পরিবার হাইকোর্টে মামলা করেছিল। তাদের আইনজীবী রাজর্ষি হালদার বলেন, বন্ধ হওয়ার সময় ওই চটকলের শ্রমিক-সংখ্যা ছিল ৫০০০। বিগত সরকার বন্ধ শিল্পের শ্রমিকদের ভাতা দিত। ২০১০-এ তা ১৫০০ টাকা করা হয়। কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত থাকেন গৌরীপুর জুটমিলের শ্রমিকেরা। পরে কোর্টের নির্দেশে জেলাশাসক জানান, ওই মিলের ৮০৬ জন কর্মী ভাতার আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪৪০ জনকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৪৪০ জন ভাতা পেলেন কেন, কল্যাণীর সহকারী শ্রম কমিশনারকে তদন্ত করে দু’মাসে তার রিপোর্ট দিতে হবে। আবেদনকারী সব শ্রমিককে ভাতা দেওয়ারও ব্যবস্থা করতে হবে। ওই চটকলের কোনও শ্রমিক চাইলে সহকারী শ্রম কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
|
প্রশাসকের হাতে গেল ১৩ পুরসভা |
চলতি মাসেই যে-তেরোটি পুরসভায় বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, পরবর্তী বোর্ড গঠিত না-হওয়া পর্যন্ত সেগুলিতে প্রশাসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই তেরো পুরসভায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমাশাসকদের। ওই সব পুরসভায় বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে। রাজ্য সরকার ৭ সেপ্টেম্বর সেখানে ভোট চায় বলে অ্যাডভোকেট জেনারেল বুধবারেই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছেন। সেই
ভোটের পরে নতুন বোর্ড গড়া পর্যন্ত পুরসভাগুলি থাকবে প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রণেই।
পুরনো খবর: রাজ্য ১৩টি পুরসভায় ভোট চায় ৭ সেপ্টেম্বর
|