মারামারি, হুমকি, পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার পোড়ানো এবং সম্পত্তি ক্ষতির মধ্যে বসিরহাট মহকুমা ৯টি থানা থেকে অধিকাংশ পুলিশ সরিয়ে নেওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন। মহকুমা সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে- এই মর্মে মহকুমাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এআইইউডিএফের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রমজান মাসে শুক্রবার ১৯ জুলাই জুম্মার নমাজের জন্য মুসলিম ভোটকর্মীদের নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্যে মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট ধান্যকুড়িয়ার বড়গোবরা গ্রামে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দু’পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খোলাপোতা পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুরে তৃণমূল প্রার্থীর ব্যানার খানায় ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে খোলাপোতা-বাদুড়িয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল সমর্থকরা। শ্রীনগর-মাটিয়া পঞ্চায়েতেও তৃণমূল প্রার্থী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। দেগঙ্গার চৌরাসি পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মাটিকুমড়োয় সিপিএম প্রার্থীকে হুমকি এবং তার জমিতে শতাধিক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সিপিএম প্রার্থী। অন্যদিকে, সিপিএমের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বাদুড়িয়ার রামচন্দ্রপুর-উদয় পঞ্চায়েতের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অভিযোগ পেলেই সাধ্যমত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য থানা থেকে বেশিরভাগ লোক তুলে নেওয়ায় সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রশাসনিক কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সুযোগেই রাজনৈতিক দলগুলির সন্ত্রাসের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে বলে মহকুমাশাসকের কাছে এ দিন স্মারকলিপি দেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, “সন্দেশখালি, মিনাখাঁ-সহ মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলে বাইক বাহিনীর হুমকিতে আমাদের প্রার্থীরা প্রচার করতে পারছেন না। পুলিশ কম থাকায় অভিযোগ জানালেও লাভ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া কঠিন। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।” |