দুর্নীতি, দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ওয়ার্ড কমিটি ভাঙার পরিকল্পনা হয়েছিল আগেই। কিন্তু অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ওয়ার্ড কমিটি ভাঙার পাশাপাশি কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের শহর, যুব, ছাত্র সব শাখা কমিটিই ভেঙে দিলেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিধানসভা ভোটের পর থেকেই স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ পেয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, সমস্ত ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু ক্রমশ প্রচুর অভিযোগ পেয়ে সমস্ত শাখা সংগঠনের কমিটিও ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন সর্ব্বোচ্চ নেতৃত্ব।”
দলীয় এক সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের পরেই নতুন সমস্ত কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক ও তৃণমূলের কামারহাটি কমিটির চেয়ারম্যান মদন মিত্রকে।
কামারহাটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছিল। পুলিশের খাতায় নাম আছে এমন অভিযুক্তদের কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা নিয়ে দলের ভিতরেই বিতর্ক ছিল। বামফ্রন্ট পরিচালিত কামারহাটি পুরসভায় ১৭টি ওয়ার্ড রয়েছে বিরোধী তৃণমূলের দখলে। বিরোধী হলেও তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়া-সহ সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দল-বিরোধী বিভিন্ন কাজের অভিযোগও উঠেছে। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে কম পক্ষে ১৫টি ওয়ার্ডেই বেআইনি নির্মাণে মদত দিচ্ছে আমাদের কাউন্সিলরেরা।” এছাড়াও বিধানসভা ভোটের পরেই প্রকট হয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য, বেশ কিছু দিন আগে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি সমবায় সংস্থার জমি দখল এবং তার ভিতরের জলা বোজানো নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। মদনবাবুও স্বীকার করেছেন,“দলীয় শৃঙ্খলা বজায় না রাখার জন্যই কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |