অনুপ্রবেশকারী এক মহিলাকে তাড়া করে ঝোপের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন বিএসএফের এক জওয়ান। ধরে ফেলে সেখানেই মহিলার বছর ছ’য়েকের ছেলের সামনে তাঁকে ওই জওয়ান ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে গাইঘাটা থানায় লিখিত নালিশ জানান মহিলা। ৪০ নম্বর ব্যাটালিয়নের আংরাইল ক্যাম্পের কনস্টেবল অভিযুক্ত সুরজিৎ দেববর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানায়, বছর তিরিশের ওই মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের নরাইলে। নবি মুম্বইতে তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। অসুস্থ বাবাকে দেখতে যাচ্ছিলেন দেশের বাড়িতে। দালাল মারফত বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার আংরাইলে খেদাপাড়া সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি। দলে ছিল কয়েক জন বাংলাদেশি।
জওয়ানেরা ধাওয়া করলে বাকিরা পালায়। মহিলাকে তাড়া করে সীমান্ত-সংলগ্ন লেবু বাগানে ঢোকেন সুরজিৎ। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে মহিলা জানান, ওই বিএসএফ জওয়ান তাঁকে ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে ধর্ষণ করেন। সামনেই তখন ছিল মহিলার ছেলে। অভিযোগ, ধর্ষণ করার পরে মহিলাকে চড় মেরে চলে যান জওয়ান।
মহিলা লেবু বাগান থেকে বেরিয়ে লোকজনকে জানান ঘটনার কথা। খবর যায় কলকাতায় বিএসএফ আধিকারিকের দফতরে। বিএসফের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আংরাইল ক্যাম্পের জওয়ানেরা মহিলাকে নিয়ে গাইঘাটা থানায় যান। অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হন মহিলা। জওয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও করেন তিনি। ৩৭৬ (২-বি) ধারায় (হেফাজতে থাকাকালীন ধর্ষণ) মামলা রুজু হয়েছে বলে জানায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত জওয়ানকে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। সাসপেন্ড হয়েছেন ত্রিপুরার বাসিন্দা ওই জওয়ান। বনগাঁ মহকুমা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ মানতে চাননি মহিলা। ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। |