তৃণমূলের দুই দল ছাত্রের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়াল নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনায় ছ’জন ছাত্র জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে শুভদীপ মিত্র নামে এক প্রাক্তন ছাত্র তথা তৃণমূলের নেতাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর বারোটার পর থেকেই কলেজে গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, যুযুধান দু’পক্ষই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক। ছাত্র সংসদের জিএস আশিস ঘোষ বলেন, “সিপিএম সমর্থিত কয়েকজন ছেলে এ দিন কলেজে ঢুকে আমাদের উপর লাঠি-রড নিয়ে হামলা চালায়। তাতেই আমাদের দলের ৬জন আহত হন।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা। তিনি বলেন, “সিপিএম পরিকল্পনা করে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উপর হামলা চালিয়েছে।” সিপিএমের নবদ্বীপ লোকাল কমিটির সম্পাদক গৌর কাপুরিয়া বলেন, “নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দায় সিপিএমের উপর চাপানো তৃণমূলের অভ্যাস। ওই কলেজে গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কোনও ইউনিটই নেই।”
নবদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সকলে ব্যস্ত। এই সুযোগে এমন ঘটনা ঘটেছে।” নবদ্বীপ কলেজের অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রদের এই গোলমাল মূলত কলেজের বাইরে হয়েছে। কলেজের কোনও কাজে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে রাজনীতিকে কেন্দ্র করে এই ছাত্র সংঘর্ষ কাম্য নয়।” নবদ্বীপের আইসি তপনকুমার মিত্র বলেন, “বুধবারের ঘটনায় ৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” |