বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না-হওয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পরে কীটনাশক খাইয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে তার দুই আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার চকমোহন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সকালে কিশোরীর বাড়ির কাছে ডাঙ্গাপাড়ায় পাটের জমির ভিতর গোঙানির শব্দ পান বাসিন্দারা। তাঁরা সেখানে গিয়ে কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম হল, কালাম মণ্ডল ও ফিরদৌস মণ্ডল। কালাম ও ফিরদৌস কিশোরীর দিদির দেওর এবং ভাসুর। অভিযোগে কিশোরীরর দিদির শাশুড়ির বিরুদ্ধে মদত দেওত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যদিও কিশোরীর দিদির শাশুড়ি তাঁর দুই ছেলে ও তিনি ওই ঘটনায় যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন।
হিলি থানার ওসি সঞ্জীব সুব্বা বলেন, “অভিযুক্ত কালাম ওই কিশোরীর দিদির দেওর এবং ফিরদৌস হলেন দিদির ভাসুর। ধৃতদের মায়ের নামেও অভিযোগ রয়েছে। কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দিনমজুর পরিবারের ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরেই তার দিদির দেওর বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু, কিশোরীর বাড়ির লোকজন রাজি হননি। কারণ, পরিবারের বড় মেয়েকে বিয়ে দিলেও তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে নানা সমস্যা হচ্ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই ছোট মেয়েকে ওই বাড়িতে বিয়ে দিতে বাড়ির লোকজন রাজি হননি। কিন্তু, কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য কালাম উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ।
ওই দিন বিকেলে কিশোরীটি বাড়ি থেকে বার হয়। সে দিদির বাড়ি যাচ্ছে বলে বাড়িতে জানিয়েছিল। রাতে কিশোরীর খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন ওই রাতে তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাননি কেন তা স্পষ্ট নয়। এদিন সকালে বাড়ির কিছুটা দূরে গ্রামেরই একটি পাট খেতের মধ্যে কিশোরীর অর্ধনগ্ন ও আচ্ছন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। |