জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রচারে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এ নিয়ে তারা বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু করেছে গ্রামে গ্রামে। ‘ছোট পরিবার, সুখী পরিবার,’ এই স্লোগান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নতুন দম্পতিকে সুবিধে-অসুবিধের কথা বোঝাচ্ছেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। রাজ্যের নির্দেশেই জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দু’টি ভাগে এই কর্মসূচি হবে। একটি ‘দম্পতি সম্পর্ক পক্ষ’। যেটি শুরু হয়েছে ২৭ জুন থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। অন্যটি, ‘জনসংখ্যা স্থিরতা পক্ষ’। এটি শুরু হবে ১১ জুলাই থেকে। চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। এই কর্মসূচি রূপায়ণ কী ভাবে করা হবে তার নির্দেশ ইতিমধ্যেই ব্লকে ব্লকে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে জেলার সব ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (বিএমওএইচ) নিয়ে এক বৈঠক করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। সেখানেও এ নিয়ে আলোচনার পর বিএমওএইচদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই কর্মসূচি। এই উপলক্ষে হেলথ ক্যাম্প, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার প্রভৃতি হবে।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুরুতে এলাকায় গিয়ে নতুন দম্পতির নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এ জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার এএনএম নার্স এবং আশা কর্মীরা। তাঁরাই দম্পতির কাছে স্বাস্থ্য দফতরের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন করছেন। পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে র্যালি, লিফলেট বিলি, গ্রুপ মিটিং করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “এই পর্বে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের উপরই গুরুত্ব দেওয়া হবে। কী কী ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা দম্পতিকে বোঝানো হবে।” পরবর্তী সময়ে প্রতি ব্লকে হেলথ ক্যাম্প হবে। ক্যাম্পে টিউবেক্টমি, ভ্যাসেক্টমি প্রভৃতি হবে। জানা গিয়েছে, ‘জনসংখ্যা স্থিরতা পক্ষ’র মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই অস্ত্রোপচার হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপনকে সামনে রেখেই রাজ্যে এই কর্মসূচি। প্রথমে ঠিক ছিল, ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে জেলায় কর্মসূচি হবে। তবে, ওই দিন পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তাই ঠিক হয় দিন বদল করা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। আশা করব, কর্মসূচি সফল হবে।” |