কোথাও ভেঙে পড়েছে নর্দমার পাশে থাকা পাঁচিল। কোথাও রাস্তা এতটাই বেহাল যে গাড়ি, সাইকেল চলাচলের অযোগ্য। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি পুর সভার বিভিন্ন এলাকায় ওই পরিস্থিতি চোখে পড়েছে বুধবার। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন জল নেমে গিয়েছে। জল জমে কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা চিড়ে, গুড়, ত্রিপল, ব্লিচিং পাউডার চেয়ে এ দিন আবেদন করেছেন। সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ কাজল চন্দ বলেন, “বুধবার কোথাও জল জমে নেই। তবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভার বিশেষ দল তৈরি।” |
এনজেপি স্টেশনের রিকশা স্ট্যান্ডে
জমে আছে জল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
বর্ষায় বেহাল ধূপগুড়ি ফালাকাটা
সড়ক। —নিজস্ব চিত্র। |
|
৪৩ নম্বর ওয়াডের্র দাদাভাই কলোনি এলাকায় ভেঙে পড়েছে নর্দমার ধারের দেওয়াল। চেকপোস্ট এলাকার রাস্তায় তৈরি হয়েছে গর্ত। বৃষ্টিতে এই গর্তগুলি জলে ভরে যাওয়ায় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। ভানুনগর, প্রকাশনগর এলাকায় রস্তার পরিস্থিতি আরও খারাপ। বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার পর কাদা পেড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। ওয়াডের্র কাউন্সিলর রাগিনী সিং বলেন, “অনেকবার পুরসভাকে জানান হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের সমরনগর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা খারাপ। শুধু মূল শহর সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলি নয়, শহরের মূল রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। ছোট বড় গর্ত রয়েছে শিলিগুড়ি কলেজের সামনের রাস্তাটি। বেহাল দশা বিধান মার্কেটের রাস্তাগুলির। পঞ্চনই নদী বাঁধের অবস্থা ভাল জানিয়ে পুরসভায় চিঠি দেন নুরুল বাবু। তিনি বলেন, “পঞ্চনই নদীর বাঁধের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। তা দ্রুত মেরামতির প্রয়োজন।” নুরুলবাবু জানান, পুর আইনের ৩৯০ ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আবেদন জানাবেন।
অন্যদিকে এ দিন পাতিকলোনি এলাকার ৯ নম্বর রাস্তায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে। বিদ্যুত বিভাগের কর্মীরা দেরিতে যাওয়ায় বাসিন্দারা ক্ষোভ দেখান। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিরোধী দলনেতা নুরুলবাবু গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। অভিযোগ, প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে তারটি ছিড়ে পড়ে ছিল। তার ছিড়ে তড়িদাহত হয়ে একটি কুকুর মারাও গিয়েছে। |