সর্বদল বৈঠক ২৬ জুলাই। তার পরেই, ২৭ তারিখে বসছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ কথা জানিয়ে বলেন, “বাজেট অধিবেশন বিধানসভার সাংবিধানিক বিষয়। একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে।” আইন অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বাজেট পাশ করাতেই হবে। তাই তড়িঘড়ি অধিবেশন ডাকছে সরকার। এই নিয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দুষেছেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, কমিশন বাজেট অধিবেশনের মতো সাংবিধানিক বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি। সরকার পক্ষের দাবি, ৩১ জুলাই বাজেট পাশ করানোর সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু তার দু’দিন আগে পঞ্চায়েতের ভোটগণনার তারিখ ফেলা হয়েছে। রাজ্যের এক মন্ত্রীর বলেন, “বাজেট অধিবেশনে দলের সব বিধায়ককে হাজির থাকার কথা। তাই পঞ্চায়েত ভোটের মধ্যেও অনেক বিধায়ককে জেলা ছেড়ে আসতে হবে।” তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন গণনার দিন ঠিক করলে এই সমস্যা এড়ানো যেত বলে সরকারের দাবি। কিন্তু তা না-হওয়ায় ২৭ তারিখেই বাজেট পাশ করানোর চেষ্টা করবে সরকার। পার্থবাবু জানান, ২৯ জুলাই ভোটগণনা হবে। যা পরিস্থিতি, তাতে এক দিনই অধিবেশন হবে বলে মনে করছে সরকার। রাজ্যপালও এই ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন।
পুরনো খবর: ভোট-জটে বিধানসভায় জটিলতা, প্রশ্নের মুখে ব্যয়বরাদ্দ
|
জঙ্গলমহল দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট |
আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্বের সূচনা হচ্ছে। আজ প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হবে জঙ্গলমহলের তিন জেলায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব তাপস রায় বুধবার জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র-সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, সরকার প্রথম দফায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র পুলিশ সরবরাহ করেছে। তা-ই করার কথা ছিল। ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। নিরাপত্তা বন্দোবস্তে সন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে এ দিন বলেছেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমি খুশি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই বাহিনী মোতায়েন হয়েছে।” প্রথম দফার তিন জেলায় মোট প্রার্থী ২৫ হাজার ৭৪৯। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছেন ১ হাজার ৭৩৫ জন, যাঁদের মধ্যে বামফ্রন্টের ২, কংগ্রেসের ১, ও নির্দল ১৬ জন। বাকিরা তৃণমূলের। সোমবার, ১৫ জুলাই দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি ও বর্ধমানে। |