প্রার্থীদের মারধর, হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
আজ পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরীয় নির্বাচন। তার আগে প্রার্থীদের মারধর করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বোরো ও বরাবাজার থানা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে বোরো থানার দুর্জয়পাড়া ও ধডাঙা এলাকায় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএমের সমর্থকদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বান্দোয়ানের সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত বেশরার অভিযোগ, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী প্রবীর সিংয়ের মাথা ফাটিয়ে দেয়। ওরা আমাদের জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ হেমব্রম ও তার বাবা লম্বোদর হেমব্রমকেও ব্যাপক মারধর করে।” পরে সিপিএমের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মানবাজার ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রভাস মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএম আমাদের এক সমর্থককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। নিজেদের দোষ ঢাকতে ওরা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।” তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে হেনস্তা করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ গরাই। তিনি বরাবাজারের তুমড়াশোল অঞ্চলের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, “মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কি করে ব্যাগ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। হুমকিও দেয় ওরা। রাতেই আমি থানায় জানিয়েছি।” তৃণমূলের বরাবাজার ব্লক সভাপতি সুদর্শন মাহাতোর দাবি, “এ রকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।” |
বুথ অনেক দূর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঘমুণ্ডি |
এ বারও দুঃখ ঘুচলো না অযোধ্যাপাহাড়ের একাধিক গ্রামের বাসিন্দার। বাঁধঘুটু, বাড়ুয়াজারা, ডুলগুবেড়া ও সাহেবডির মতো পাহাড়ের উপরের ছোট্ট গ্রামগুলির বাসিন্দাদের ভোট দিতে নামতে হবে নীচে, ১০-১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়েরিয়া গ্রামের বুথে। অন্য বার চড়া গরমে, এ বার রয়েছে বর্ষার ভ্রূকুটি। বাড়ুয়াজারা গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র হাঁসদা বলছিলেন, “ভোটের দিন কোন যানবাহন থাকে না। কষ্ট করে কোনওরকমে বুথে যেতে হয়। কিন্তু আমাদের কথা কে ভাবে?” বাঁধঘুটু গ্রামের বধূ মণিকা মুর্মু এ বারই প্রথম ভোট দেবেন। তাঁর কথায়, “প্রথমবার ভোট দেওয়ার উৎসাহ অতটা পথ হাঁটার ভয়ে যেন থিতিয়ে গিয়েছে।” বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “গত বিধানসভা নিবার্চনের সময়েই প্রশাসনের কাছে ওই গ্রামগুলির ভোটারদের সমস্যার জানিয়ে কাছাকাছি জায়গায় বুথ তৈরির দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এ বারও ব্যবস্থা করেনি।” বাঘমুণ্ডির বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “ওই এলাকায় কোনও সরকারি ভবন না থাকায় অন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা যায়নি।” |
ঝুলন্ত দেহ পুলিশকর্মীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • হুড়া |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটিতে আসা দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়ায়। বুধবার সকালে হুড়া থানার লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের উল্টো দিকের একটি গাছে বলবাহাদুর গুরুং (৫৫) নামে দার্জিলিং জেলা পুলিশের ওই হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাড়ি দার্জিলিং সদর থানা এলাকার পাতাবুঙে। পঞ্চায়েত ভোটে হুড়া থানা এলাকায় তাঁর ডিউটি পড়েছিল। মঙ্গলবার তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে হুড়ায় পৌঁছন। লালপুর কলেজে পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর এক সহকর্মী বলেন, “মঙ্গলবার রাতে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। খেয়েছে কিনা জানতে চাওয়ায় বলল, ‘ভাত খেয়েছি’। আজ সকালে উঠে দেখি এই কাণ্ড।” পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। মৃতের বাড়ির লোকজনকে খবর পাঠানো হয়েছে। |
বৃদ্ধা খুনে পড়শি গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নিতুড়িয়া |
এক বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় পুলিশ তাঁর পড়শিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মুনিয়া বিবি (৬৫)। তিনি নিতুড়িয়া থানার ইনানপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনাথ সহিস নামে ওই বৃদ্ধার পড়শিকে পুলিশ ধরেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মুনিয়া বিবির সঙ্গে ধৃত ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা হয়েছিল। ভারী পাথর দিয়ে থেঁতলে ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়। প্রথমে নিতুড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেখান থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বুধবার ধৃতকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু |
বাড়িতে পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পবিত্র মণ্ডলের (৩৬)। বাড়ি নিতুড়িয়া থানা এলাকার মনগ্রাম গ্রামে। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার বাড়িতে টুলু পাম্প চালানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। নিতুড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। |