|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় গোলমাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলায় শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে গোলমাল অব্যাহত রইল বুধবারেও। এ দিন সকালে পাঁশকুড়া ব্লকের প্রতাপপুর ২ পঞ্চায়েতের রায়বাঁধ গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, “রায়বাঁধ বাজারে এ দিন সকালে এক দলীয় সমর্থকের দোকানে তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে আমাদের সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকজন।” তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়ার উপ-পুরপ্রধান নন্দ মিশ্র পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “সিপিএম সমর্থকের দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা। রায়বাঁধ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ও আমাদের কর্মী শঙ্কর সামন্ত এ দিন সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে পাঁশকুড়া বাজারে আসার সময় সিপিএম সমর্থকরা তাঁকে আটকে মারধর করেছে।”
অন্য দিকে এ দিন দুপুরে সিপিএমের মহিলা প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বয়াল ২ পঞ্চায়েত এলাকার বলরামপুর গ্রামের ২ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী নীলিমা দাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রামের সিপিএম নেতা অশোক গুড়িয়ার অভিযোগ, “নীলিমাদেবী প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। মঙ্গলবার নীলিমাদেবীর বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে একদল তৃণমূল সমর্থক। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ সুভাষ প্রধান নামে এক তৃণমূল সমর্থককে আটক করেছিল। বুধবার সে ছাড়া পাওয়ার পর লোকজন নিয়ে এসে ফের নীলিমাদেবীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা বাদল মাইতি বলেন, “গোটা ব্লক জুড়ে সিপিএম কর্মীরা কোথাও দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে না বেরিয়ে শুধু আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে। এ দিনও নিলীমাদেবীর বাড়িতে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি । অথচ ওরা পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।” |
|
|
|
|
|