নিরাপত্তায় মোড়া ১১টি ব্লক |
রাস্তায় বাহিনীর টহল, নজরদারি আকাশপথেও |
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলের তিন জেলায় আজ ভোট। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে সব আয়োজনই সারা হয়েছে। থাকছে আকাশপথে নজরদারির ব্যবস্থাও।
নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পুলিশ ও প্রশাসন সব দিক দিয়েই তৈরি বলে জানানো হয়েছে। জেলা পর্যবেক্ষক দীপক ঘোষ ও জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “আমরা সব দিক দিয়েই প্রস্তুত।” পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবারই জেলায় পৌঁছে গিয়েছে পুরো বাহিনী। তবে এখনও নজরদারি হেলিকপ্টারটি আসেনি। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের দিন সকালেও কপ্টার আসতে পারে।
জেলার ৪৭৪৭টি বুথের মধ্যে ২৬৮৫টি বুথ অতি উত্তেজনা প্রবণ। আর উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা হল ১০৪৯টি। জেলার ১১টি মাওবাদী ব্লকেই বেশিরভাগ অতি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। সামান্যতম অশান্তিএ যাতে না হয় সে জন্য কয়েকদিন আগে থেকেই জঙ্গলমহলে তল্লাশি চলছে। প্রথমে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলায় ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে আরও ১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ জেলায় এসেছে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাওবাদী মোকাবিলায় আগে থেকেই ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলায় ২০ কোম্পানি ও পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ জেলায় ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “বুথে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। রাস্তাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেবে।” |
|
যেন অস্ত্রাগার। মেদিনীপুরে বাহিনীর সরঞ্জাম। —নিজস্ব চিত্র। |
এবার অবশ্য কোনও এলাকা থেকেই বুথ সরাতে হয়নি। প্রতিটি বুথেই গাড়িতে যাতায়াত করবেন ভোটকর্মীরা। তাই জঙ্গল রাস্তায় প্রতিদিনই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এক পদস্থ কর্তার কথায়, “অতর্কিতে হামলা হলে আটকানো কঠিন। হঠাৎ একজন মানুষ এসে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে দিতে পারে, হঠাৎ করে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণও করতে পারে। তাই সর্বত্র সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।” এমনিতেই জঙ্গলমহলের রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য জেলায় একাধিক ল্যান্ডমাইন নিরোধক গাড়ি রয়েছে। প্রয়োজনে সেই গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হবে ভোটকর্মীদের। |
|