|
|
|
|
পরিচয়পত্র কেড়ে নিচ্ছে, তৃণমূলের নামে নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
ভোটের আগের দিনেও দাঁড়ি পড়ল না সন্ত্রাসে। অভিযোগের তিরও সেই তৃণমূলের দিকেই। সিপিএম-সিপিআই থেকে কংগ্রেস- বিজেপি, একযোগে সকলেই আক্রমণ করল শাসকদলকে। বিরোধী সমর্থকদের ভয় দেখানো ছাড়া বাড়ি গিয়ে ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে গোপীবল্লভপুর, সবং, পিংলা-সহ জেলার নানা প্রান্তে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “দলীয় সমর্থকদের কাছে গিয়ে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভোট দিতে যেতে হবে না। ভোট ঠিক পড়ে যাবে।” সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণারও বক্তব্য, “গোপীবল্লভপুর, সবং প্রভৃতি এলাকায় পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে। ভোটের দিন দলীয় সমর্থকদের বাড়ির বাইরে না বেরোনোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানাচ্ছি।” তৃণমূলকে বিঁধে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “চারদিকে থমথমে ভাব। মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। বেশ কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলই হল না।” বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের একের পর এক মন্তব্যের জেরেই দলের নীচুতলার কর্মীরা নতুন করে সন্ত্রাস শুরু করেছে।”
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “সব মিথ্যে অভিযোগ। মনোনয়ন-পর্বের শুরু থেকে জেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। দু’-একটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা তা সমর্থন করি না। পদক্ষেপও করেছি।” তৃণমূলের দাবি, পায়ের তলার জমি হারিয়েই দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বিরোধীরা। জেলায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হবে।
মনোনয়ন-পর্বের শুরু থেকে জেলার নানা প্রান্তে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কখনও মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা তো কখনও মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ। দাঁতন, মোহনপুর, নারায়ণগড়, পিংলা, সবং, খড়্গপুর, শালবনি সব এলাকা থেকেই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে। নির্বাচনের আগের দিনও সেই ধারা বজায় থাকল। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভোটার পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়ার কথা ঠিক নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রকম পদক্ষেপই করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|