নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রহৃত হলেন এক কংগ্রেস প্রার্থী। অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে কেতুগ্রামের মোড়গ্রাম দাসপাড়ায় প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের হাতে প্রহৃত হন ফিরোজা বেগম নামে ওই প্রার্থী। তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফিরোজা বেগম কেতুগ্রাম ১ ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর নির্বাচন কেন্দ্র (মোড়গ্রাম) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোড়গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম গত ২ জুলাই তৃণমূলের হাতে নির্বাচনী প্রচারে বাধা পেতে পারেন, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন। বুধবার সকালে ফিরোজা বেগমের স্বামী নজরুল হক শেখ কাটোয়া মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার প্রতিলিপি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার, এসডিপিও (কাটোয়া) ও নির্বাচন কমিশনকে। |
নজরুল হক শেখের বক্তব্য, “ফিরোজা ও কংগ্রেস সমর্থক-কর্মীরা মঙ্গলবার বিকেলে মোড়গ্রাম দাসপাড়ায় প্রচার করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন আমাদের উপর চড়াও হয়।” তাঁর অভিযোগ, ১৫ থেকে ২০ জন তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি লিখিত ভাবে বেশ কয়েক জনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন। তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লকের সাধারণ সম্পাদক জাহের শেখ বলেন, “এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তা ছাড়া আদৌ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।” ফিরোজা বেগমকে প্রথমে কান্দরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার সকালে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে শুয়ে ফিরোজা বেগম বলেন, “এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমি সুষ্ঠু ভাবে প্রচার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই মার খেতে হল।” ওই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে নানা ভাবে প্রচারে বাধা দিতে চাইছে এবং হুমকি দিচ্ছে। কাটোয়ার মহকুমাশাসক আর অর্জুন বলেন, “পুলিশের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কেতুগ্রাম থানাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হচ্ছে।” |