জমি বাড়ি, দোকান, হোটেলের ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার পরেও জমি না ছাড়ায় মালদহ অন্তত ২০টি এলাকায় চার লেনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অধিগৃহীত জমি খালি করার জন্য প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বহুবার আর্জি জানানোর পড়েও কাজ না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়ার (এনএইচ) কর্তৃপক্ষ। এতে সময়ের মধ্যে চার লেনের জাতীয় সড়ক শেষ হবে কী না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এনএইচ কর্তৃপক্ষ।
দফতরের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মহম্মদ সইফুল্লা বলেন, “মালদহ জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে জমি অধিগ্রহণের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তেরা ক্ষতিপূরণের সব টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা জমি না ছাড়ায় সমস্যা হচ্ছে। কাজ করা যাচ্ছে না।” তিনি জানান, নারায়ণপুর, ঘাকশোল, বাগসরাই, রাঙাভিটা-সহ কুড়িটি জায়গায় একাধিক মানুষ জাতীয় সড়কের অধিগৃহীত জমি থেকে বাড়িঘর, দোকান, হোটেল সরাতে চাইছেন না। তাঁরা জোর করে জমি দখল করে রেখেছেন। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সঞ্জীব চাকি বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চিঠি আমরা পেয়েছি। তার পরে অধিগৃহীত জমি খালি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে কাউকে জোর করে উচ্ছেদ করার বিষয় নেই। এতে অন্য সমস্যা হতে পারে। ওই বাসিন্দাদের নানাভাবে বোঝানো হচ্ছে। দ্রুত জমি খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এনএইচ কতৃর্পক্ষ মালদহ জেলায় ওই রাস্তার জন্য জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কাছে ১৭২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছিল। এখন পর্যন্ত ওই দফতর ১১২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে জাতীয় সড়ক কতৃর্পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে। এরজন্য এনএইচ কর্তৃপক্ষ ভূমি রাজস্ব দফতরকে ২১২ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বলেন, “মাত্র ৪ কোটি ৬ লক্ষ টাকা বাদে সমস্ত টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য বিলি করে দেওয়া হয়েছে।” টাকা নিয়েও জমি দখল করে রাখা অনেক জমির কয়েকজন মালিক জানান, ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়েছে ঠিকই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা কম বলে মনে হওয়ায় অনেকেই আপত্তি নথিভুক্ত করিয়েছেন। তার পরে অনেকে দোকান লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। জমির মালিকেরা অনেক টাকা পেলে তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকায় সন্তুষ্ট নয়। এই সব সমস্যায় জমি অধিগ্রহণ আটকে রয়েছে।
|
মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তুফানগঞ্জ |
দুই নির্দল প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক দল তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে তুফানগঞ্জ থানার নাটাবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, জখম ওই দুই নির্দল প্রার্থীর নাম নিত্যানন্দ সরকার ও পূর্ণচন্দ্র দাস। নিত্যানন্দর অভিযোগ, “আমি তৃণমূলের যুব সংগঠনের সদস্য। দলীয় টিকিট না পেয়ে মানুষের দাবি মেনে নির্দল হয়ে লড়ছি। পূর্ণচন্দ্রবাবুকে নিয়ে তুফানগঞ্জ থেকে পোস্টার আনতে গাড়িতে উঠেছিলাম। গাড়ি থামিয়ে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেন।” |