বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো যাবে না, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ জারির ২৪ ঘণ্টার মাথায় পুরাতন মালদহে বাইক র্যালি করলেন কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার (অর্জুন)। পুলিশের সামনে বিশাল বাইক বাহিনীর মিছিল দেখে নাগেশ্বরপুর, রসিলাদহ, মালদহ কোর্ট স্টেশন, কাদিরপুর, শান্তিপুর এবং দিলালপুর এলাকায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে মালদহ থানার আইসি ও বিডিও বাইক মিছিলের অনুমতি দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। |
সাবিত্রী দেবীর নালিশ, “জেলায় কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে ৫০০টির বেশি বাইক নিয়ে কংগ্রেস র্যালি করেছে। পুলিশ, বিডিও কেন বাইক মিছিলের অনুমতি দিল? নিবার্চন কমিশনারের কাছে নালিশ করছি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বরবাবুও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার ঘটনার কথা শুনেছেন। তিনি বলেন, “যদি অভিযোগ সত্যি হয়, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট থানার আইসির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পুরাতন মালদহের বিডিও দুলেন রায় অবশ্য দাবি করেছেন, রাজ্য নিবার্চন কমিশনারের নির্দেশ পাওয়ার আগে আইসি-র ছাড়পত্রের ভিত্তিতে বাইক র্যালির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অনুমতি দিলে বাইকের সংখ্যা উল্লেখ করে দেব। মালদহ থানার আইসি আশিস দেব জানিয়েছেন, অনেক আগে ওই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এ দিন সকাল ৯টা থেকে সাহাপুর হাইস্কুলের সামনে আমবাগানে বাইক নিয়ে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা হাজির হন। বেলা ১০টায় কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথবাবুর নেতৃত্বে বাইক র্যালি শুরু করা হয়। এর পরে নাগেশ্বরপুর, ছাতিয়ান মোড়, মাধাইপুর, সুজাপুর, ভাটরা হয়ে সাহাপুরের ২৩ বুথ চার ঘণ্টা ধরে দাপিয়ে বেরিয়ে দুপুর ২টো নাগাদ সাহাপুর হাইস্কুলের পাশের আমবাগানে কংগ্রেসেরের র্যালি শেষ হয়। কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “বিডিওর অনুমতি নিয়ে চার ঘণ্টা র্যালি করেছি। র্যালিতে ৬৬১টি বাইক ও ২০০টি সাইকেল ছিল।” |