ডুয়ার্সের শিপচুতে পুলিশকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জেলা জজ রাই চট্টোপাধ্যায় আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। পুলিশকর্মীদের উপর হামলা ছাড়াও, খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা, সরকারি কাজে বাধা দান, অস্ত্র নিয়ে জমায়েত করা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন গুরুঙ্গ এবং অন্য এক মোর্চা কর্মী আগাম জামিনের আবেদন করলেও সরকারি তরফে আবেদনের বিরোধিতা কিংবা সমর্থন কিছুই করা হয়নি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ডুয়ার্সের শিবচু থেকে জঁয়গা পর্যন্ত মোর্চার পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের থেকে সেদিন ডুয়ার্সে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা ভেঙে পদযাত্রা শুরুর পরে শিবচুতেই পুলিশ মোর্চা সমথর্র্কদের আটকে দেয় বলে জানা গিয়েছে। তার পরেই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে মোর্চার সংঘর্ষে তিন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আহত হন ৫ পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় পুলিশের তরফে মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ সব ৪৫ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার দিনই কালচিনির তত্কালীন মোর্চা সমর্থিত বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বলে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল বলেন, “ওই অভিযোগে চার্জশিট জমা পড়েছে। এদিন আগাম জামিনের আবেদনের বিরোধিতা বা সমর্থন কোনোটাই করা হয়নি।” গত ১ জুলাই নাগরাকাটা থানার আরও একটি ফৌজদারি মামলায় গুরুঙ্গ সহ মোর্চার শীর্ষস্তরের ৫ নেতা জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। বিমল গুরুঙ্গের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, “এই মামলায় অভিযুক্ত এক জন ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। অস্ত্র আইনে মামলা করলেও অভিযুক্তদের থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। জেলা আদালতও সব দিক বিচার বিবেচনা করে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।” |