৩০৯ বছরের রথ নামটাই বদলে দিয়েছে ঘোষবাড়ির
ফুল, আলো আর পুতুল দিয়ে সাজছে আঁটপুরের ঘোষবাড়ির নাটমন্দির। ফি বছর দু’বার সাজে। একবার দুর্গাপুজোয়, আরেকবার রথে। শাক্ত ও বৈষ্ণব দুই মতেই বিশ্বাসী ঘোষ পরিবারে সাত পুরুষ ধরে আরাধ্যা প্রভু জগন্নাথ।
রথে পড়ছে রঙের পোঁচ।
বাড়িরই নিমগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি জগন্নাথদেবের বিগ্রহ। পুরনো রথটি রোদে-জলে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে রথ। ১৭ হাত উঁচু, ন’টি চূড়া বিশিষ্ট এই রথ অনেকটাই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে তৈরি।
ঘোষবাড়ির প্রবীণ সদস্য ৮৫ বছরের সমর ঘোষ বললেন, ‘‘আমাদের পরিবারে জগন্নাথদেবের পুজো প্রথম করেন ঠাকুরদার ঠাকুরদা কাশীনাথ ঘোষ। তাঁর মায়ের সঙ্গে পুরী গিয়ে জগন্নাথদেবের মূর্তি এনে পুজো করার বায়না করেন। সেই শুরু। পরবর্তী সময় ১১১১ বঙ্গাব্দে আমাদের বাড়িতে জগন্নাথদেবের স্থায়ী পুজো শুরু হয়। রথযাত্রাও শুরু সেই বছর থেকে। ৩০৯ বছর ধরে ঘোষবাড়ির রথ টানা হয়ে আসছে। এখন তো বাড়ির নাম বদলে এলাকায় রথবাড়ি হয়ে গিয়েছে।’’
জগন্নাথদেব।
রথযাত্রার দিন থেকে শতাব্দী প্রাচীন রথবাড়ির সামনে মেলা বসে যায়। পাঁপড়, তেলেভাজা, জিলিপি, বাদাম, নানা রকম জিনিসের পসরা থেকে খেলনাবাটি সবরেই মেলা। রথ, উল্টো রথ শেষ হয়ে গেলেও এক মাস ধরে মেলা চলতে থাকে। সমরবাবু বলেন, ‘‘পুরীর নিয়ম মেনেই এখানে জগন্নাথদেবের পুজো হয়। তবে এখানে মাসির বাড়ি বলে কিছু নেই। তাই আমাদের বাড়ি থেকে রথ বেরিয়ে শ্যামনগর অকল্যান্ড চটকল পর্যন্ত যায়। আবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর নাট মন্দিরে থাকেন জগন্নাথদেব।’’ স্মৃতির ঝুলি হাতড়ে বলে চলেন, ‘‘শাক্ত ও বৈষ্ণবদের মতানৈক্য নিয়ে কোন্দল বাধলে ১১৬২ বঙ্গাব্দে আমাদের বাড়িতে শাক্ত মতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই থেকে একই নাট মন্দিরে দেবী দুর্গা ও জগন্নাথদেবের পুজো হয়ে আসছে।’’

ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.