ফুল, আলো আর পুতুল দিয়ে সাজছে আঁটপুরের ঘোষবাড়ির নাটমন্দির। ফি বছর দু’বার সাজে। একবার দুর্গাপুজোয়, আরেকবার রথে। শাক্ত ও বৈষ্ণব দুই মতেই বিশ্বাসী ঘোষ পরিবারে সাত পুরুষ ধরে আরাধ্যা প্রভু জগন্নাথ।
|
রথযাত্রার দিন থেকে শতাব্দী প্রাচীন রথবাড়ির সামনে মেলা বসে যায়। পাঁপড়, তেলেভাজা, জিলিপি, বাদাম, নানা রকম জিনিসের পসরা থেকে খেলনাবাটি সবরেই মেলা। রথ, উল্টো রথ শেষ হয়ে গেলেও এক মাস ধরে মেলা চলতে থাকে। সমরবাবু বলেন, ‘‘পুরীর নিয়ম মেনেই এখানে জগন্নাথদেবের পুজো হয়। তবে এখানে মাসির বাড়ি বলে কিছু নেই। তাই আমাদের বাড়ি থেকে রথ বেরিয়ে শ্যামনগর অকল্যান্ড চটকল পর্যন্ত যায়। আবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর নাট মন্দিরে থাকেন জগন্নাথদেব।’’ স্মৃতির ঝুলি হাতড়ে বলে চলেন, ‘‘শাক্ত ও বৈষ্ণবদের মতানৈক্য নিয়ে কোন্দল বাধলে ১১৬২ বঙ্গাব্দে আমাদের বাড়িতে শাক্ত মতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই থেকে একই নাট মন্দিরে দেবী দুর্গা ও জগন্নাথদেবের পুজো হয়ে আসছে।’’
|