‘শাসনের’ নামে সোমবার দুপুরে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জখম দশম শ্রেণির রফিকুল ইসলাম নামে ওই ছাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার দুপুরে স্কুলের বারান্দায় সাইকেল রাখা নিয়ে প্রধান শিক্ষক নিবিড়কৃষ্ণ ঘোষ ওই ছাত্রকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সহপাঠীরা আহত ওই ছাত্রকে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে তাকে পাঠানো হয় বহরমপুরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জখম পড়ুয়ার পরিবারের তরফে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ, মুর্শিদাবাদ) মৃণাল মজুমদার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হবে।”
প্রধান শিক্ষক নিবিড়কৃষ্ণ ঘোষ অবশ্য বলেন, “ওই ছাত্রকে শাসন করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি।” তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল রাখার জন্য নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও ছাত্ররা তা মানেনি। বারান্দায় সাইকেল রাখা ছিল। ফলে ক্লাসে যেতে পারছিলাম না। তখন নিচে ওই সাইকেলগুলি নামিয়ে রাখা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্ররা কৈফিয়ত চায়। তখন ওই ছাত্রকে শাসন করা হয়েছে।” |
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ছাত্রের সিটি স্ক্যান করানো হতে পারে। তবে ডান হাতের কব্জির হাড় ভেঙেছে বলে চিকিৎসকের আশঙ্কা। গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
দৌলতাবাদ থানার কলাডাঙা ঘোষপাড়ায় মামার বাড়িতে থেকে রফিকুল পড়াশোনা করে। রফিকুলের দিদিমা হাসিনা বিবি বলেন, “নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল রাখলে প্রতি দিন সিট, বেল চুরি হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ জানাতে গেলে নিজের টাকায় তা কেনার পরামর্শ দেন। তাই ছাত্রছাত্রীরা বারান্দায় সাইকেল রাখে। এতেও প্রধান শিক্ষকের সমস্যা।”
তাঁর অভিযোগ, “প্রধান শিক্ষকের মারে নাতি বেহুঁশ হয়ে পড়লেও শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। বিনা দোষে মারধর করা হয়েছে নাতিকে। আমাকে ফোন করে প্রধান শিক্ষক নাতিকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। থানায় অভিযোগ করেছি।” |