|
|
|
|
সমাজ বদলের স্বপ্ন নিয়ে ভোটে সুপ্রীতিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দু’জনের দল আলাদা। আলাদা বিশ্বাস। মিল শুধু একটাই, দু’জনেই চান, রাজনীতিতে তরুণদের প্রাধান্য বাড়ুক, বিশেষ করে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
সুপ্রীতি বারী মণ্ডল ও তসলিমা খাতুন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে প্রধান দুই প্রতিপক্ষের দুই বয়ঃকনিষ্ঠ প্রার্থী। প্রথম জনের নাম সুপ্রীতি বারী মণ্ডল। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের ৯ নম্বর আসনের সিপিআই প্রার্থী। বয়স ২২। অন্য জনের নাম তসলিমা খাতুন। গড়বেতা- ৩ থেকে জেলা পরিষদের ৫৮ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী। বয়স ২১। জেলা পরিষদের ৬৭টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যাঁদের প্রার্থী করেছে, তাঁদের মধ্যে এই দুই প্রার্থীই কনিষ্ঠ। দু’জনের পরিবার সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে দল করছে। সেই সূত্রে এঁদের রাজনীতিতে আসা। তসলিমা বলছিলেন, “আমাদের পরিবার আগে থেকেই তৃণমূল করে। বাবা-দাদা দলের সক্রিয় কর্মী। এক সময়ে ভাবতাম, আমি যদি কখনও রাজনীতি করার সুযোগ পাই। নির্বাচনে দাঁড়াই। মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে ছিলই। সেই ইচ্ছে পূরণ হল।” অন্যদিকে, সুপ্রীতির কথায়, “বাবা দীর্ঘদিন ধরে সিপিআই করেন। দলের পুরনো কর্মী। এক সময়ে বাবার সঙ্গে দলের কর্মসূচিতে গিয়েছি। ইচ্ছে ছিল, সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। সেই ইচ্ছে পূরণ হল।” দু’জনেরই প্রথম ভোট দেওয়া গত বিধানসভা নির্বাচনে। |
|
তসলিমা খাতুনের সমর্থনে দেওয়াল লিখন।—নিজস্ব চিত্র। |
সুপ্রীতির বাড়ি গোপীবল্লভপুর- ২ এর ভামাল গ্রামে। স্বামী দীপককুমার বারীও সিপিআই কর্মী। এক বছরের মেয়ে রয়েছে। সংসার সামলেই চলছে প্রচার। বাবা হীরন্য মণ্ডল দলের পুরনো কর্মী। সুপ্রীতি বলছিলেন, “বাবাকে দেখেই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে হয়েছিল। আমার মানুষের কাজ করতে ভাল লাগে। জনপ্রতিনিধি হলে কাজ করার বেশি সুযোগ আসে।” জিতলে কী করবেন? সিপিআইয়ের এই কনিষ্ঠ প্রার্থীর কথায়, “অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এলাকায় জলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তার সমস্যা রয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই সব সমস্যারই আগে সমাধান করব।” তসলিমার বাড়ি গড়বেতা-৩ ব্লকের পরাননগরে। বাবা আবু বক্তার মণ্ডল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তসলিমার কথায়, “বাবাকে দেখেই রাজনীতিতে আসা। সমাজসেবা করতে ভাল লাগে। মানুষের কাজ করার সুযোগ পেলে নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করব।” তিনি বলছিলেন, “এলাকায় অনেক সমস্যা। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি। প্রচারে বেরিয়ে সমস্যাগুলো কাছ থেকে দেখেছি। জলের সমস্যা রয়েছে। সেচের সমস্যা রয়েছে। জিতলে এই সব সমস্যার সমাধান করব।”
এ বার ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সেই জন্য জেলা পরিষদের মতো আসনে প্রার্থী হতে পেরেছেন সুপ্রীতি, তসলিমারা। তাঁরা নিজেরাও তা মানছেন। তসলিমার কথায়, “এ বার ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এটা ভাল দিক। এর ফলে বেশি সংখ্যক মহিলা পঞ্চায়েতের কাজ করার সুযোগ পাবে।” সুপ্রীতির কথায়, “মহিলারাও ভাল কাজ করেন। ৫০ শতাংশ আসন সংক্ষরণের ফলে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা কাজের সুযোগ পাবে। পঞ্চায়েতের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে।” |
|
|
|
|
|