আনন্দবাজার পত্রিকা

নাইজিরিয়ার ক্লাব ফুটবলে গড়াপেটা কেলেঙ্কারি

দু’ম্যাচে ১৪৬ গোল
নিজস্ব প্রতিবেদন

স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে চোয়াল ঝুলে যেতে বাধ্য। ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড সব হিসেব গুলিয়েও যেতে পারে। এক ম্যাচের স্কোর কিনা ৬৭-০! নাইজিরিয়ার অ্যামেচার ডিভিশন ফুটবলে বিজয়ী পুলিশ মেশিন এফ সি আর বিজিত বাবাইয়ারো এফসি-র এই অত্যাশ্চর্য ফল যেন যথেষ্ট ছিল না। পুলিশ এসির প্রতিদ্বন্দ্বী টিম প্ল্যাটো ইউনাইটেড ফিডারস পরের ম্যাচেই ৭৯-০ গোলে আকুরুবা এফসি-কে হারিয়ে গোলপার্থক্যে প্লে-অফে চলে যায়। দু’ম্যাচে ১৪৬ গোল! এই নিয়েই তোলপাড় এখন নাইজিরিয়া ফুটবল। নাইজিরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান মহম্মদ সানসুই বলেন, “আমাদের জন্য এই ম্যাচ দুটো প্রচণ্ড অপমানজনক। দুটো ম্যাচেই গড়াপেটা হয়েছে। এ সব মেনে নেওয়া যায় না। অ্যামেচার লিগ বোর্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
অবশ্য তার আগেই গড়াপেটার সন্দেহে দুই ক্লাবকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। নাইজিরিয়ার অ্যামেচার ফুটবলের প্রধান এমানুয়েল আদেসানিয়া গোটা ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। “ওই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসিয়ালদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। একটাই ভাল খবর। এই দুটো টিমের একটাও আমাদের লিগের অংশ নয়। রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছিল শুধু। গ্রুপ জয়ীরাই জাতীয় স্তরের অ্যামেচার লিগে খেলার সুযোগ পায়। আমরা এ রকম দলকে কখনওই লিগের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেব না,” বলে দেন তিনি।

গোলের লজ্জা
বিশ্ব ফুটবলে ১৪৯-০	২০০২-এ মাদাগাস্কার জাতীয় লিগে এএস আদেমা হারায় স্টেট অলিম্পিক লেমির্নে-কে। রেফারির পক্ষপাতের প্রতিবাদে ক্ষোভে নিজেদের গোলেই বারবার বল ঠেলে দেয় লেমির্নের ফুটবলাররা।

কলকাতা ফুটবলে ১১৪-০	আইবিএসি হারায় ভিক্টোরিয়া-কে। ১৯৮৩ কলকাতা তৃতীয় ডিভিশন লিগে।
মহিলা ফুটবলে ৫০-১	২০০৫-এ বেলজিয়াম তৃতীয় ডিভিশন মহিলা লিগে এফসি ম্যালিনেস হারায় এস কে বেরলার-কে। ম্যাচের পর জানায় যায় বেরলারের নিয়মিত গোলকিপার ম্যাচে না নেমে স্থানীয় একটি কনসার্ট শুনতে চলে গিয়েছিলেন।
তথ্য: হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.