|
|
|
|
যোগ লগ্নি সংস্থার |
এসপি ঘুষ চাইছেন, নালিশ ডিজিকে |
প্রভাত ঘোষ • কলকাতা |
ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন, এই অভিযোগ করে রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন খড়্গপুরের এক ব্যবসায়ী দেবব্রত ঘোষ। পুলিশ সুপার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে ওই ব্যবসায়ীর সম্পত্তির উৎস নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
গোটা ঘটনার সঙ্গে অর্থলগ্নি সংস্থা এটিএম গোষ্ঠী এবং খড়্গপুরের মার্চেন্ট অফ কমার্সের এক পদাধিকারীর যোগ রয়েছে বলেও ব্যবসায়ী নালিশ করেছেন। ডিজিকে লেখা চিঠিতে দেবব্রতবাবু বলেছেন, গত বছর নভেম্বর থেকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটিএম গোষ্ঠীর প্রধান তৈমুর আলি গায়েনকে তিনি ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ দেন। ঋণ শোধের জন্য তৈমুরবাবু যে-দুটি পোস্টডেটেড চেক দিয়েছিলেন, সেগুলি বাউন্স করে। তার পর থেকে ওই ব্যক্তির আর খোঁজ মেলেনি। এ নিয়ে ২৩ জুন মেদিনীপুরে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন অভিযোগকারী।
এর মধ্যে এই টাকা উদ্ধারে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন খড়্গপুর মার্চেন্ট চেম্বার্স অফ কমার্সের সম্পাদক রবিশঙ্কর রায়। দেবব্রতবাবু লিখেছেন, “রবিশঙ্কর রায় আমাকে পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কাছে নিয়ে গেলে তিনিও আমাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।” অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু দিন পর থেকেই রবিশঙ্করবাবু ১ কোটি টাকা চাইতে থাকেন। বলেন, পুলিশ সুপার ও শাসক দলের নেতাদের প্রথম দফায় ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না-দিলে তাঁকে মাওবাদী হিসেবে গ্রেফতারও করা হতে পারে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, মে মাসের ১৯ তারিখ এসপি নিজেই গিরি ময়দান এলাকায় একটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেবব্রতবাবুকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তার পর ৪ জুলাই ঝাড়গ্রাম থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর এক দল কমান্ডোকে সঙ্গে নিয়ে দেবব্রতবাবুর বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান। সে সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “লোকটা কে, তাই জানি না। কোর্টে যাক, যেখানে অভিযোগ জানাতে চায় জানাক। আমি কী করব?”
পরে তিনি নিজে আবার ফোন করে বলেন, “ওই লোকটার নাম প্রথমে বুঝতে পারিনি। লোকটা এটিএম গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। ওঁকে পুলিশ খুঁজছে। উনি ধরা না-দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন?”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ জানতে চায়, উনি কোটি কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছেন কী করে? ১০-১৫ বছর আগে লোকটার কী সম্পত্তি ছিল?” তাঁকে কি গ্রেফতারের জন্য সমন বেরিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, “না, তা বের হয়নি। ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ খুঁজছে। কারণ এটিএম গোষ্ঠীর যারা ধরা পড়েছে, তারা ওই লোকটার নাম বলেছে।”
চিঠিতে উল্লেখ করা আর এক অভিযুক্ত রবিশঙ্করবাবু বলেন, “আমি দেবব্রতবাবুকে চিনি। তিনি একটা অভিযোগ করেছেন, করতেই পারে। গণতান্ত্রিক দেশ। আদালতে যাক। সেখানেই সত্যি-মিথ্যে প্রমাণ হবে।”
কিন্তু এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ডিজি-কে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও সাড়া মেলেনি। |
|
|
|
|
|