পরিবেশ বাঁচাতে নাগরিকদের নিয়ে কৃত্রিম বনভূমি গড়বে ঝাড়খণ্ড সরকার। শুধু হরেক ফলের গাছ থাকবে ওই জঙ্গলে। রাঁচির কাছে তুপুদানায় ‘স্মৃতিবন’ নামে এমনই একটি বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, কোনও পরিজনের নামে ওই জমিতে চারাগাছ রোপণ পারবেন যে কেউ-ই। ওই গাছের চারপাশ ঘিরে দেওয়া হবে। ওই বেড়ার উপর ফলকে লেখা থাকবে গাছটি কার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি সেটি পুঁতেছেন তাঁরও নাম থাকবে ওই ফলকে।
রাঁচির ‘ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার’ রাজীবলোচন বক্সি বলেন, “পরিবেশ দিবসে যে সব চারাগাছ রোপণ করা হয়, তার বেশিরভাগই সঠিক যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ আজকাল গাছ বাঁচাতে অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। তা-ই কোনও বড় গাছ কাটতে দেখলে প্রতিবাদ হয়। কিন্তু পরিচর্যা না-পেলে কোনও চারাগাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে---এ বিষয়টিকেও সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে।”
বন দফতর জানিয়েছে, ১ হাজার টাকা দিলে ‘স্মৃতিবন’ প্রকল্পে একটি গাছ রোপণ করা যাবে। গাছ জোগাড় করে দেবে বন দফতরই। যিনি ওই চারাগাছটি পুঁতবেন, নিয়মিত ব্যবধানে সময়মতো তাঁকে ওই বনভূমিতে গিয়ে সেটির পরিচর্যাও করতে হবে। গাছটির ‘মালিকানা’ থাকবে তাঁরই হাতে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তুপুদানার কাছে টোংকো এলাকায় ১৬ একর জমিতে ‘স্মৃতিবন’ প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিকাঠামোও তৈরি হচ্ছে জোরকদমে।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পে ‘গ্রাফটেড ট্রি’ জাতীয় চারাগাছ রোপণ করা হবে। এতে খুব দ্রুত সেগুলি বড় হয়ে উঠবে। দু-তিন বছরের মধ্যে ফলও দিতে শুরু করবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর ওই ফল সংগ্রহ করে ওই গাছের স্বত্ত্বাধিকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বন দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০টি গাছ স্মৃতিবনে রোপণ করা হয়েছে।
এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “নিজের হাতে যে সব নাগরিক সেখানে গাছ পুঁতবেন, সে গুলিকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদও তাঁরা বুঝবেন। ওই গাছটির সঙ্গে তাঁদের প্রিয় কোনও মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে থাকবে। |