ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকের উপস্থিতিতে গণ্ডগোল করার অভিযোগে তিন দিনের জন্য তাদের কোনও ক্লাস নেওয়া হবে না বলে নির্দেশ জারি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। তার প্রতিবাদে পরের দিন ওই স্কুলের কোনও ক্লাসই হতে দিল না ওই ছাত্রেরা। মঙ্গলবার নলহাটির বাণীওড় অশ্বিনীকুমার হাইস্কুলের ঘটনা।
সোমবার নবম শ্রেণির ‘ক’ বিভাগের কয়েকজন ছাত্র ক্লাস চলাকালীন গণ্ডগোল করছিল বলে অভিযোগ। তার জেরেই প্রধান শিক্ষক আশিস মণ্ডল নির্দেশ দেন, আগামী তিন দিন তাদের কোনও ক্লাসই নেওয়া হবে না। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই এ দিন সকালে প্রার্থনার পরে নবম শ্রেণির ‘ক’ বিভাগের ছাত্রেরা ক্লাস করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারা শিক্ষকদের ক্লাসে ঢুকতে বারণ করে ও বিভিন্ন ক্লাস থেকে ছাত্রদের বেরিয়ে যেতে বলে। তাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়েছেন।
এ দিন আশিসবাবু স্কুলের কাজে সিউড়িতে ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনার কথা শুনতে পান। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ছাত্রদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য এবং স্কুলের প্রতি যাতে ভালবাসা জন্মায়, সেই জন্য ওই নির্দেশ দিয়েছিলাম। তার বদলে ওরা দেখছি স্কুলের সমস্ত ক্লাসই বন্ধ করে দিল!” এমন নির্দেশ জারি করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই নির্দেশ দেওয়া যায় কি যায় না, সেটা আইনগত ব্যাপার। তাই বলে ছাত্রেরা ক্লাস চলাকালীন গণ্ডগোল করে অন্যদের ক্লাস করতে অসুবিধা তৈরি করবে? আর সেটা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিলেও প্রশ্ন উঠবে?”
স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুশান্ত দাস বলেন, “আমি ও স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে রাজি ছিল না। স্কুলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য এ দিন আর কোনও ক্লাস হয়নি।” অন্য দিকে, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবার ছাত্রদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবেন।” |