কর্মীদের মার, অভিযুক্ত টিএমসিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বিশ্ববিদ্যালয়ের গেষ্ট হাউসে ঢুকে কর্মী ও স্কুলের ছাত্রদের মারধর ও ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতা ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা হলেন নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু ক্ষেত্রপাল, ও পাপ্পু। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিনিবাসের সিনিয়র স্টুয়ার্ড অমিতকুমার হালদার এই মর্মে বর্ধমান থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। অমিতবাবুর অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অভিযুক্ত তিনজন অতিথিনিবাসে ঢুকে পড়েন। তাঁদের হাতে প্রহৃত ও নিগৃহীত হন সোমনাথ দাস, গোকুল বিশ্বাস, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় ও মঞ্জুর আলম নামে চার কর্মী। অতিথিনিবাসে তখন কয়েকটি জেলা থেকে বর্ধমান সায়েন্স ক্যাম্পে যোগ দিতে আসা ছাত্রছাত্রীরাও ছিল। অভিযোগ,ঘরের দরজার ধাক্কা মেরে তাদেরও ভয় দেখান এই তিন মদ্যোপ নেতা ও কর্মী। তবে অভিযুক্তদের অন্যতম নির্ভীক ও সন্তু বলেন, “আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসলে ঠান্ডা জল খেতে গিয়েছিলাম। অতিথিনিবাসের এক কর্মী আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় সামান্য বচসা হয়েছে।” অমিতবাবু আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার তখন রেজিষ্ট্রার ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে। উপাচার্য বলেন, “ওই ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি। স্টুয়ার্ড থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।” পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। |
ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের মধ্যে এক জন গলসি থানার কনস্টেবল হৃদয়রঞ্জন মাল (৪২) ও অন্য জন ক্রেনের চালক শেখ কাদের (৪৪)। প্রথম জনের বাড়ি বীরভূমের মারগ্রাম থানার সন্তোষপুরে। অন্য জন গলসির খেতুড়ের বাসিন্দা। গলসি বাজারের কাছে একটি ট্রাক খারাপ হয়ে পড়েছিল। পুলিশের একটি জিপ সেটি সরাতে ক্রেন নিয়ে যায়। এই কাজ চলার সময় একটি ১০ চাকার ট্রেলার পিছন থেকে এসে জিপে ধাক্কা মারায় ঘটনাস্থলেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। |