রেল সাইডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আধ বিঘা জমি নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছেন জমির মালিক, জামুড়িয়ায় অভিযোগ করলেন একটি বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার সুনীত চক্রবর্তী জানান, কাঁচামাল পরিবহণে তাদের অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তা বন্ধ করতে নিজেরাই তপসি রেল সাইডিং থেকে একটি রেললাইন পাতার কাজ শুরু করেছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই লাইনের মধ্যে বাকি রয়েছে ফুটখানেক। তা সম্পূর্ণ করতে হলে তাঁদের আধ বিঘা জমি কিনতে হবে। সেই জমির মালিক কৃষাণ শর্মা। সুনীতবাবু জানান, কৃষাণবাবু তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করছেন না। তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা কাঠা প্রতি সাত লক্ষ টাকা করে দাম দাবি করছেন। শুধু তাই নয়, সাইডিং থেকে সমস্ত পরিবহণের ঠিকা তাঁকে না দিলে জমি দেওয়া হবে না বলেও কৃষাণবাবু হুমকি দিচ্ছেন, অভিযোগ সুনীতবাবুর। তাঁর বক্তব্য, “এমন হলে কারখানা চালানো সম্ভব নয়।”
কৃষাণবাবুর দাবি, ২০০৯ সালের ২২ জুলাই ওই এলাকায় ৫৭ ডেসিমল জায়গা কেনেন তিনি। ২০১২ সালের অগস্টে জানতে পারেন, তাঁর জমিতে যত গাছ ছিল তা কেটে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “গত ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২২ নভেম্বর রেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানান, জোর করে ওই সংস্থা আমার জমি দখল করে নিতে চাইছে। সংস্থার সমস্ত বর্জ্য আমার জমিতে ফেলা হচ্ছে। কোনও ফল না হওয়ায় গত ১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সব জানাই প্রতিকার চাই।” এখন ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অপবাদ দিতে চাইছেন বলেও তাঁর দাবি। কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার সুনীতবাবু শুধু বলেন, “আমরা চাই, কৃষাণবাবু যা বলতে চাইছেন, তা সরাসরি আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বলুন।” |