আবারও তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলল সিপিএম। সোমবার রাতে সিপিএমের বারাবনি ২ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক শ্রীধর রাউতের বাড়িতে জনা চল্লিশের একটি দল গালিগালাজ করে ও ইট পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ।
বারাবনি থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন শ্রীধরবাবু। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরা যায়নি। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার সকালেও ওই এলাকায় একাধিকবার পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়। বারবনির দাসকেয়ারির বাসিন্দা শ্রীধরবাবুর অভিযোগ, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ জনা চল্লিশের একটি দল তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে। সঙ্গে ইটও ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির মহিলারা। সোমবার সন্ধ্যায় প্রচার চলাকালীন সিপিএম প্রার্থী দুর্জয় মণ্ডল ও তাঁর লোকজনদের উপরও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। দুর্জয়বাবু জানান, পুঁচড়া পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর নপাড়া গ্রামে প্রচারের সময় এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনিও বারাবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই দু’টি ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে বারাবনি এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিএম। মিছিলে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বারাবনির দাসকেয়ারি, মদনপুর, সীতাবাড়ি, কাঁটাপাহাড়ি, রসুনপুর এলাকায় হুমকি ও হামলা চালাচ্ছে। বিষয়টি তিনি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলের বারাবনি-সালানপুরের নির্বাচনী পরিদর্শক পাপ্পু উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সিপিএম হেরে যাবে বুঝেই আগেভাগে অপপ্রচার শুরু করেছে। বারাবনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ওই সমস্ত এলাকায় পুলিশি অভিযান বাড়ানো হচ্ছে। |