গ্রাহকদের অভিযোগ নথিভুক্ত করার প্রবণতা বাড়াতে জেলা জুড়ে শিবির করে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নেমেছে কোচবিহার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উপভোক্তা বিষয়ক ও নায্য অনুশীলন বিভাগ। ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার বিভিন্ন মহকুমা সদর এলাকার জনবহুল জায়গায় গত জুন মাস থেকে ওই শিবির করা হচ্ছে। ফলও মিলেছে। অন্যান্য মাসে গড়ে যেখানে ২০ টি অভিযোগ নথিভুক্ত হত তা দ্বিগুণের বেশি হয়ে ৫১ টি দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসেও একই ভাবে জেলার বিভিন্ন মহকুমা সদরে শিবির করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। ইতিমধ্যে ১২ জুলাই মাথাভাঙায় ওই শিবির করার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। শীঘ্রই দিনহাটা তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ মহকুমা সদরের শিবির করার সূচিও চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উপভোক্তা বিষয়ক ও নায্য অনুশীলন বিভাগের কোচবিহারের সহ অধিকর্তা ধনঞ্জয় রুহিদাস বলেন, “অভিযোগ নথিভুক্ত করার প্রবণতা বাড়ানো জরুরি। জুলাই মাস জুড়েও শিবির হবে।” ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে জুন মাসে নথিভুক্ত ৫১ টি অভিযোগের মধ্যে ব্যাঙ্কে এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলতে না পারলেও ওই অঙ্ক মূল অ্যাকাউন্ট থেকে কমে যাওয়া। মোবাইল কেনার ‘ওয়ার্যান্টি’র সময়সীমা থাকার পরেও তা মেরামত করে দিতে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে গড়িমসির মত নানা অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে।
বহু ক্ষেত্রে ফোন করেও সমস্যার সমাধান পেয়েছেন অভিযোগকারী। এক আধিকারিকের কথায় কয়েক মাস আগে কোচবিহারের এক দোকান থেকে বেবিফুড কেনার পর বাড়িতে গিয়ে প্যাকেট খুলে ক্রেতা দেখেন তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দোকানদার প্যাকেট বদলে নতুন করে দিতে চাননি। অভিযোগ পাওয়ার পর দফতর থেকে ফোন করার পরে তড়িঘড়ি তিনি নতুন প্যাকেট দিয়ে দেন। দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ির বাসিন্দা হিমাংশু চক্রবর্তী ল্যান্ড ফোন জমা করার পরে দীর্ঘদিন সিকিউরিটির টাকা ফেরত না পেলেও দফতরের মধ্যস্থতায় দ্রুত টাকা পান। খাপাইডাঙ্গার জ্যোতির্ময়ী সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়রানির অভিযোগ জানান। কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতয়ায় অভিযোগের দিনই তার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। |