শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে বহুকোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পালকে ৭ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মধুমিতা বসু ওই নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুন খেলাঘর মোড়ের বাসিন্দা শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্ধারিত সময়ের জন্য পুলিশি হাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়। এর পরেই এ দিন তাকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, মৃগাঙ্কবাবুকে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এসজেডিএ’র অভিযুক্ত বাস্তুকার মৃগাঙ্কবাবুকে জমি কিনে দেওয়ার জন্য কলকাতার ঠিকাদার সংস্থা ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর তরফে শঙ্করবাবুকে টাকা দেওয়া হয়। জমি কেনার জন্য অগ্রিম ১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা শিলিগুড়ির বাসিন্দা আনন্দ গোয়েলকে দিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। ওই টাকা পুলিশ আনন্দ গোয়েলের কাছ থেকে উদ্ধার করার ব্যাপারে আশাবাদী। এ দিন আদালতে পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ওই ১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা কী ভাবে রাখা হবে? আদালতের তরফে জানানো হয়, সব অভিযুক্ত এবং সরকার পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধাম্ত নিতে হবে।
সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া বলেন, “ওই টাকা কোথায় কী ভাবে রাখা হবে সব পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী ১৫ জুলাই পরবর্তী শুনানি।” শঙ্করবাবুর পক্ষে আইনজীবী অভ্রজ্যোতি দাস বলেন, “আদালতে নির্দেশ মেনেই আমরা চলব।”
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমে দফতরের বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল, প্রবীণ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রকল্পের কাজে যুক্ত কলকাতার ঠিকাদার সংস্থা ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ছেলেকেও গ্রেফতার করা হয়। ধরা হয় তাদের এক প্রতিনিধিকে। ইতিমধ্যেই এসজেডিএ’র তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা বর্তমানে মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশের একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করে আসে। জোড়াপানি, নদী সংস্কার, ত্রিফলা আলো লাগানো, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর মতো বিভিন্ন প্রকল্পে অসঙ্গতির ব্যাপারেও বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় পুলিশ। |