বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শ্যালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বনগাঁর গোপালনগর থানার পুলিশ স্থানীয় মাছডোবা এলাকা থেকে গোলাম মুস্তাফা মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এ দিনই মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই ছাত্রী দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাড়ি গোপালনগর থানা এলাকাতেই। অভিযোগ, গত ৪ জুলাই বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গোলাম তার শ্যালিকাকে গাইঘাটার রামপুরে নিজের মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে শ্যালিকাকে সে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এর পরে বাড়িতে ফেরার পরে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্ত ঘটনা বাড়ির লোকদের জানায়। কিন্তু সামাজিক সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রথমে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানাতে চাননি। কিন্তু এ দিন সকালে ওই ছত্রী নিজেই থানায় গোপালনগর থানায় এলে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গোলাম মুস্তাফাকে গ্রহেফতার করে।
অন্যদিকে সোমবার বিকেলে বাগদা থানার গোবিন্দপুরে এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে কালু ওরফে সঞ্জয় হালদার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই বধূ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তিনি ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কালু ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। তিনি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়। |