আবেদন করেও সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের কয়েকটি স্কুলে। ক্যানিং-২ ব্লকের নজরুলপল্লি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র ও দক্ষিণ পাতিখালি নিউ ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এই অভিযোগ করেছে। নজরুলপল্লি স্কুলের ১৯ জন ও পাতিখালি নিউ ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ২৯ জন সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী গত বছর স্কলারশিপের টাকার জন্য আবেদন করে। আজও সেই টাকা তারা পায়নি বলে ওই ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। ওই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা বলেন, “অন্যান্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ওই টাকা পেয়ে গেলেও প্রায় ১ বছর ধরে আমাদের ছেলেমেয়েরা সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।”
রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, “এত দিন স্কলারশিপের টাকা আটকে থাকার কথা নয়। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে আধিকারিকরা সময় দিতে পারছেন না বলেই হয়তো সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
নজরুলপল্লি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক আহমেদ আলি লস্কর বলেন, “কেন স্কলারশিপের টাকা আসছে না বুঝতে পারছি না। গত বছর ২০ অগস্ট স্কুলের ছেলেমেয়েদের আবেদনপত্র আমরা ব্লক অফিসে জমা দিয়েছিলাম।” স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ব্লক অফিসে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে পঞ্চায়েত ভোটের ব্যস্ততার কারণে প্রশাসনের কেউ কথা শুনতে চাইছে না।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে স্কুলের পরীক্ষায় যে সমস্ত সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী ৫০ শতাংশের উপর নম্বর পাবে সেই সমস্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংখ্যালঘু দফতর ‘প্রি-ম্যাট্রিক স্টুডেন্ট স্কলারশিপ ফর মাইনরিটি’ প্রকল্প চালু করেছিল। এতে স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের টিউশান ফি, ভর্তি ফি বাবদ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে।
ক্যানিং-২ এর বিডিও সিরাজ ইব্রাহিম বলেন, “আবেদনের পরে এক বছর পেরোতে চললেও কেন ওই দুই স্কুলের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপের টাকা পেল না খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে স্কলারশিপের টাকা যাতে দ্রুত ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায় তার চেষ্টা করা হবে।” |