|
|
|
|
দায়িত্বে অতিরিক্ত জেলাশাসক |
জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক মহিলা গেলেন। বদলে এলেন আর এক মহিলা।
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হল। দায়িত্ব ফুরলো বিদায়ী সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের। জেলাশাসকের নির্দেশে জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী। যতদিন না নতুন সভাধিপতি দায়িত্ব নিচ্ছেন। তিনিই জেলা পরিষদের কাজকর্ম চালাবেন।
২০০৮ সালের ৮ জুলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন অন্তরাদেবী। সহ-সভাধিপতি হন নমিতা দে। দায়িত্ব নেন কর্মাধ্যক্ষরাও। সেই হিসেবে ৭ জুলাই, রবিবার জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, জেলাশাসকই জেলা পরিষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নির্দেশ দিয়েছে, জেলাশাসক বা জেলাশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা পরিষদের কাজকর্ম চালাবেন। সেই মতো জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের নির্দেশে সোমবার দায়িত্ব নিয়েছেন পাপিয়াদেবী। নিয়মানুযায়ী, মেয়াদ ফুরনোর পর আর এক মুহূর্তও জেলা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বিদায়ী বোর্ডের সদস্যরা। তাঁদের শংসাপত্রে সই করারও ক্ষমতা থাকবে না। সভাধিপতি হিসেবে অন্তরাদেবী শেষ জেলা পরিষদে এসেছিলেন গত শুক্রবার। এ দিন তিনি বলেন, “শুক্রবার জেলা পরিষদে গিয়েছিলাম। ওই দিন কর্মী- আধিকারিকরা আমার সঙ্গে দেখা করেন। জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই সরকারি গাড়িটি ছেড়ে দিয়েছি।”
আগেই জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিডিওরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চালানোর জন্য অফিসার নিয়োগ করেছেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নির্দেশ ছিল, মেয়াদ শেষ হলে সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ক্যাশ বুক-সহ যাবতীয় আর্থিক দায়িত্বের পাশাপাশি নগদ টাকা, চেক বই, ব্যাঙ্কের পাশ বই, অন্যান্য সম্পদ, সিল, স্ট্যাম্পও বিডিওর হেফাজতে রাখার। এ ক্ষেত্রে বিডিও নিজে বা কোনও অফিসারকে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চালানোর দায়িত্ব দিতে পারেন। নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েতের বিডিও কোনও অফিসারকে সেই দায়িত্ব দিলেও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে বিডিওকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। জেলায় সেই নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ হয়। এই অবস্থায় কিছু সমস্যাও হচ্ছে। কারণ, বিডিওই পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসার। ফলে, তাঁকে নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এখন নির্বাচনী বিধি কার্যকর রয়েছে। তাই নতুন কোনও কাজ হচ্ছে না ঠিকই তবে পুরনো কাজগুলো চলছে। সেই কাজ দেখভাল করতে হচ্ছে। সঙ্গে স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র প্রভৃতি কাজ রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও এখন পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আর্থিক দায়দায়িত্ব সবই বিডিওদের উপর। গত সপ্তাহে বিডিওদের নিয়ে মেদিনীপুরে এক বৈঠক করেন জেলাশাসক। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম চলবে, পরিস্থিতি দেখে তা বৈঠকে জানানো হয়। পরে মহকুমাস্তরেও বিডিও এবং তাঁর নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিডিও বলছিলেন, “কাজের প্রচুর চাপ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন পঞ্চায়েত গঠন হয়, ততই ভাল।” |
|
|
|
|
|