তাঁর নাম উচ্চারণ করলে আজও ময়দানের মুহূর্তে মনে পড়ে বিষাক্ত অফকাটার। তাঁর নাম উচ্চারণ করলে আজও ময়দানের মনে পড়ে সুব্রত গুহ-র সঙ্গে তাঁর ভয়ঙ্কর পেস জুটিকে। তাঁর নাম উচ্চারণ করলে আজও বঙ্গ-ক্রিকেটপ্রেমীর মনে হয়, রাজনীতির বলি না হলে তাঁর ভারতের হয়ে টেস্ট খেলা কেউ আটকাতে পারত না।
এবং সিএবি-র আজীবনের স্বীকৃতি পাওয়ার দিনও স্বয়ং সমর চক্রবর্তীর মনে দেশের জার্সি না পরার ক্ষোভ আছে। এত দিন পর সিএবি-র সম্মান পাওয়ায় অল্প দুঃখও আছে। কিন্তু বাংলার প্রাক্তন পেসারকে সবচেয়ে কষ্ট দিচ্ছে অভিন্নহৃদয় বন্ধু সুব্রত গুহর না থাকাটা। বলে ফেলছেন, “আজ সুব্রত বেঁচে থাকলে খুব খুশি হত। খবরটা ওকে দিতে পারলাম না বলে আফসোস হচ্ছে। এত ভাল বন্ধু ছিলাম আমরা।”
সুব্রত গুহ ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। সমর খেলেননি। কিন্তু তা বলে নিজেকে পিছিয়ে রাখেন, এমন নয়। “অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারই তখন আমাকে বলত, সুব্রতর চেয়ে আমি বেটার। আউটসুইং থেকে অফকাটার, সবই করতে পারতাম। আর সে সময় স্পোর্টিং ইউনিয়নের হয়ে না খেললে ভারতের হয়ে খেলা যেত না। এতটাই রাজনীতি হত।” ৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১৩৯ উইকেট পেয়েছেন। সেরা বোলিং ৬-৪২। বাংলা, রেল ও সার্ভিসেস তিন দলের হয়েই রঞ্জি খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ঠিক তেমনই সমর এবং সমীরদু’টো নামেই তাঁকে চিনত ময়দান! গত বছরেও আজীবন স্বীকৃতির জন্য চুনী গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর নাম উঠেছিল। কিন্তু গতবার পুরস্কার চুনী পাওয়ায় এ বার নিশ্চিতই ছিল সমরের স্বীকৃতি পাওয়া। “ভালই লাগছে। তবে স্বীকৃতিটা আরও আগে পেলে ভাল হত। এখন তো জীবনের প্রায় শেষ দিকে পৌঁছে গিয়েছি।” তবে ভাল খবর হচ্ছে, সিএবি এ বছর থেকে আজীবন স্বীকৃতি বাবদ পুরস্কার অর্থ এক লক্ষ থেকে বাড়িয়ে দু’লক্ষ করেছে। আগে যাঁরা এই সম্মান পেয়েছেন, তাঁদেরও বাড়তি এক লক্ষ করে দেওয়া হবে।
আগামী ২০ জুলাইয়ের সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের জন্য পোশাক-বিধি থাকছে। গত বারের মতো বিতর্ক এড়াতে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুব সম্ভবত রহস্য স্পিনার ভগবত চন্দ্রশেখর। |