চ্যাম্পিয়নদের ঘুম ভেঙেছে। অপর দুই দলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত। সিরিজ জমজমাট। এ বার ফাইনালে কারা মুখোমুখি হবে, তার উত্তর মিলবে আজ, মঙ্গলবার।
সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৩৯ রানে হারাল শ্রীলঙ্কা। এই যে সিরিজ জমে গিয়েছে, ভারত লড়াইয়ে ফিরে এসেছে, এটা হয়েছে মূলত দুটো কারণে। এক, বিরাট কোহলির তিন নম্বরে ফিরে আসা ও দুই, ভুবনেশ্বরের বোলিং। ইনিংসের স্টিয়ারিং হাতে নেওয়ার জন্যই বিরাট ব্যাটিং অর্ডারের বদল চাইছিল বোধহয়। আর ভুবি এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা মাপা বেশ কঠিন কাজ। ভারতের হয়ে তিন মহাদেশে খেলা হয়ে গেল ওর।
বিরাট কোহলিকে দেখে স্পষ্ট মনে হচ্ছে ও আরও বড় ভূমিকা পালন করতে চাইছে। মাঠে মাঝে মধ্যেই ওর মধ্যে যে রকম বিষ্ফোরণ ঘটছে, তা দেখে তো অন্তত তা-ই মনে হচ্ছে। দেশের হয়ে মাঠে নামা ও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গর্ব ও উত্তেজনাটা কিন্তু ও লুকিয়ে রাখতে পারছে না। আরও দায়িত্ব চাই ওর। দায়িত্বের খিদেটা ওর মারাত্মক। জেন-নেক্সটের পোস্টার বয় এমনই। শুধু কোহলি নয়, ভারতের এই দলটাকে মাঠে দেখে বেশ উত্তেজনা অনুভব করি। তারুণ্যে ঠাসা এই দলটার মধ্যে আগুন আছে, সেটাই এই উত্তেজনার প্রধান কারণ।
এই সিরিজে ভারতের শুরুটা বরাবর ভাল হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও এটাই চাই। রোহিত বড় রান না পেলেও যথেষ্ট স্তিতিশীল। আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ওর অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে সমস্যাটা নিয়ে কতটা চিন্তিত ও। বেশিক্ষণ ক্রিজে না থেকে কম রানে আউট হয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নেই। কিন্তু বারবার সেট হয়ে যাওয়ার পরও আউট হয়ে যাওয়াটা একজন ব্যাটসম্যানকে হতাশ করে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। সেটা কম বড় অপরাধও নয়। আসলে রোহিতকে আরও বেশি পার্সেন্টেজ ক্রিকেট খেলতে হবে। মনঃসংযোগে আরও ধারাবাহিকতা আনা উচিত। শট বাছাইয়েও আরও নিখুঁত হতে হবে ওকে। |