পঞ্চায়েত ভোটের মুখে হাতবদল হওয়ার আগেই এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে প্রচুর
পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। রবিবার রাতে কোন্নগরের বাঁশাই কলোনি এলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম মহম্মদ তাহির। পুলিশ জানায়, তার কাছ থেকে সাতটি পিস্তল, একটি রিভলভার, সাতটি তাজা কার্তুজ, দু’টি ভোজালি, একটি চপার এবং একটি বড় ছুরি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, ৫৫টি মেটাল ক্যান, স্প্লিন্টার-সহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে।
ধৃত তাহির। |
তাহির রিষড়ার গাঁধী সড়কের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় সে কবুল করেছে এক জনকে ব্যাগভর্তি ওই সব অস্ত্র পৌঁছে দিতে সাইকেলে চেপে সে কোন্নগর স্টেশনের দিকে আসছিল। সে মুঙ্গেরে গিয়ে ওই অস্ত্রের বরাতের ব্যাপারে চূড়ান্ত কথাবার্তা বলে আসে। এটিএমে টাকা ভরে দেয় মুঙ্গেরের অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। ট্রেনে জামাকাপড়ের ব্যাগে অস্ত্র ভরে আনা হয়। তল্লাশি এড়াতে একাধিক কার্বন পেপার দিয়ে অস্ত্র মোড়ানো হয়। কেননা, তা হলে এই অবস্থায় স্ক্যানার কাজ করবে না।
সোমবার শ্রীরামপুর আদালতের বিচারক ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ঠিক কী কারণে ওই অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাঠানো হচ্ছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |
উত্তরপাড়ার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি রবিবার রাতে ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পুলিশের একাংশের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে কাজে লাগানোর জন্যই ওই অস্ত্র আনা হয়েছে। তবে, জেলার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর দলবলকে শায়েস্তা করার জন্য তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতী, নিহত হুব্বা শ্যামলের দাদা বাচ্চু ওই অস্ত্রশস্ত্র আনাচ্ছিল কি না, সে প্রশ্নও তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। পুলিশ জানায়, বাজেয়াপ্ত অস্ত্রের দাম কয়েক লক্ষ টাকা।
|