ভোটের মুখে সবে পঞ্চায়েত সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চালাতে গিয়ে তাঁদের ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে, সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল প্রশাসনিক মহলের একাংশে। সোমবার ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পাওয়া নিয়ে অভিযোগের তদন্তে গিয়ে ঝামেলায় পড়লেন বীরভূমের খয়রাশোলের যুগ্ম বিডিও দেবেনচন্দ্র দাস। তাঁকে হেনস্থা ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে উঠল, তাঁরা সকলেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যুগ্ম বিডিও অ্যাসোসিয়েশনের বীরভূম জেলা সম্পাদক শঙ্খ ঘটক বলেন, “যদি এমন হয়ে থাকে, তা নিন্দনীয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে, তাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।”
ঘটনাস্থল কাঁকরতলা থানার বড়রা পঞ্চায়েতের বড়রা গ্রাম। গত ২৩ জুন বড়রা পঞ্চায়েতের ক্ষমতাসীন বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে, ওই পঞ্চায়েতের দেখভালের দায়িত্বে বিডিও মনোনীত আধিকারিক হিসেবে রয়েছেন যুগ্ম বিডিও। ১০০ দিনের প্রকল্পে গত কয়েকদিন ওই পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুর সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজের তদারক করতে এ দিন বড়রা গ্রামে যান খয়রাশোলের যুগ্ম বিডিও দেবেনবাবু। তিনি জানান, দিন কয়েক ধরে ওই এলাকার কিছু জব-কার্ডধারীর অভিযোগ ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পাচ্ছেন না।
সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই স্থানীয় সরকারপুকুরে (যে পুকুরে সংস্কারের কাজ চলছে) গিয়েছিলেন যুগ্ম বিডিও। তিনি অভিযোগকারীদের পরামর্শ দেন, ৪/ক ফর্ম-এ আবেদন করলেই সকলে কাজ পাবেন। কিন্তু সে সব তাঁরা করতে পারবেন না বলে জানান জব-কার্ডধারীরা। অবিলম্বে কাজ দিতে হবে, দাবি তাঁদের।
যুগ্ম বিডিও-র অভিযোগ, “তার পরেই শেখ হাবু, শেখ আসগরের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক আমার উপরে চড়াও হয়। মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।” এলাকা থেকে বেরিয়ে লিখিত ভাবে খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরারকে বিষয়টি জানান দেবেনবাবু। আবার যুগ্ম বিডিও-র বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে কিছু লোককে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বড়রা এলাকার কিছু জব-কার্ডধারী। বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “কাঁকরতলা থানায় পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করেছি। দেবেনবাবুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে, তারও তদন্ত হবে।” |