|
|
|
|
কোচবিহারে ডাকাতিতে ধৃত ৪ শাড়ি ফেরিওয়ালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
দিনের বেলায় শাড়ি বিক্রির নাম করে নজরদারি আর রাতে সেই বাড়িতেই হানা দিয়ে ডাকাতি। কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় ৬টি ডাকাতির ঘটনার তদন্তে এমনই সূত্র পেয়েছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শনিবার রাতে কোচবিহার শহর লাগোয়া চকচকার একটি বাড়ি থেকে ৬ যুবককে তারা গ্রেফতার করেছে। সকলেরই বয়েস ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশি বন্দুক। ধৃত যুবকেরা দিনের বেলায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে শাড়ি বিক্রি করত।
পুলিশ জানায়, চকচকার একটি বাড়িতে শাড়ির ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়েই ধৃতেরা ঘর ভাড়া নিয়েছিল। ধৃতদের নাম তাপস দাস, নিতাই সরকার, রাজু দে, মঙ্গল দাস, শম্ভু দাস এবং স্বপন দাস। ধৃতেরা রানাঘাট, উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা, কল্যাণী ও নদিয়ার তাহেরপুরে থাকে। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “শাড়ি বিক্রির অছিলায় ধৃতরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকত। বাড়ির সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করত। শহর ও লাগোয়া এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় ধৃতেরা জড়িত। স্থানীয় দুষ্কৃতীরা দলটির সঙ্গে রয়েছে।” সম্প্রতি, ডাউয়াগুড়িতে গৃহকর্তাকে মারধর করে অলঙ্কার এবং লক্ষাধিক টাকা লুঠের ঘটনা ঘটে। খাগড়াবাড়ি এলাকাতেও এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীর হাতে ছুরি মেরে গয়না ও নগদ টাকা লুঠ হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাইরের জেলা থেকে এসে ঘাঁটি করে থাকা নানা পেশার যুবকদের গতিবিধি নিয়ে নজরদারি শুরু হয়। সেই সূত্র ধরেই ধৃতদের পুলিশ ধরেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ডাকাতি করে ধৃতেরা নিজেদের এলাকায় ফিরে যাওয়ায় এত দিন তাদের ধরা যাচ্ছিল না। গত নভেম্বর মাস থেকে এমনটাই চলছিল। সম্প্রতি দলটি ফের চকচকার এক বাসিন্দার ঘর ভাড়া নেয়। গতিবিধি সন্দেহজনক খবর পেয়ে নজরদারি শুরু হয়। শনিবার সেখানে হানা দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন “ধৃতদের মধ্যে কে কোন ঘটনায় যুক্ত জানতে জেরা চলছে।” |
|
|
|
|
|