|
|
|
|
তৃণমূলের বিরুদ্ধে মহাজোট
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
রাজ্য স্তরে নেতারা যাই বলুন বা ভোটের প্রচারে কংগ্রেস ও বামেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বললেও আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাতলাখাওয়া গ্রামে অন্য ছবি। পঞ্চায়েতে ভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মহাজোট গড়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস, সিপিএম-আরএসপি বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দলীয় প্রতীক দিয়ে ফ্লেক্সে ‘মহাজোটে’র প্রচার। অভিযোগ, কংগ্রেস ও বাম সমর্থকরা এক সঙ্গে বৈঠক করে মহাজোট প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার প্রচারও করছেন। তৃণমূল নেতারা জানান, পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতর ৯টি আসন এবং ২টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মহাজোট হয়েছে। তবে জেলা পরিষদের আসনে আলাদা লড়ছে কংগ্রেস ও বামেরা। এলাকার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মহাজোটের কংগ্রেস প্রার্থী শিবচরণ টোপ্পো জানান, গত বছর পঞ্চায়েতে বামেদের বোর্ড ছিল। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭টি আসনের মধ্যে ৪ জন আরএসপি এবং ১জন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল বোর্ড গড়ার পরেই শুরু হয় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ। প্রধান মনোরঞ্জন দে দাদাগিরি চালাচ্ছিলেন। বাসিন্দারা বিরক্ত হয়ে ওঠেন। আমাদের দলীয় কর্মীদের নামে নানা মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু হয়। তাই দলের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে বাধ্য হয়ে মহাজোট করতে হয়েছে।”
মহাজোট নেতারা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯ আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৫টি, সিপিএম ২টি এবং আরএসপি ২ আসনে লড়ছে। পঞ্চায়েত সমিতির ২ আসন বাম প্রার্থীদের ছাড়া হয়েছে। মহাজোটের কথামেনে নিয়ে সিপিএম কৃষক সভার সদস্য নাগেশ্বর রায় বলেন, “তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস শুরু করেছে। জোটের ফ্লেক্স ছেঁড়া হয়। আমরা আলাদা আলাদা লড়লে তৃণমূল সুবিধা পেত। এলাকার বাসিন্দাদের চাপে এই জোট করেছি।” তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান মনোরঞ্জন দে বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস প্রার্থী না পাওয়ায় মহাজোট করেছে। ওঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি।” স্থানীয় নেতারা একজোট হওয়ার কথা বললেও তিন দলের জেলা স্তরের নেতাদের কথায় অন্য সুর। সিপিএমের জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ওই এলাকায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পঞ্চায়েত ভোটে স্থানীয় স্তরে হয়। এলাকায় আমাদের শক্তি কম। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে জোট করতে হয়েছে বলে এলাকার নেতারা জানিয়েছেন।” যদিও আরএসপি’র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি’ বলে এড়িয়ে যান। প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “এমন কেন হবে? তাহলে তো সিপিএমের সঙ্গে গোটা রাজ্যে তৃণমূলকে ঠেকাতে জোট হতে পারত। ওই এলাকায় কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি। কড়া ব্যবস্থা হবে।” |
|
|
|
|
|