কংগ্রেসকে দোষারোপ
হরের উন্নয়ন নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই, বিভিন্ন পুর পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে অভিযোগ তুলে পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডকেই দায়ী করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রাজ্য সরকারের তরফে বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
রবিবার মন্ত্রী বলেন, “এই অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না। পরিস্থিতি তৈরি করেছে কংগ্রেস পরিচালিত পুর বোর্ড। পুর দফতরকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, শহর জুড়ে অবৈধ নির্মাণ চলছে। যে ১১টি বহুতলের ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে নকশা অনুমোদন নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আপত্তি তোলা হয়েছিল মেয়র তা পাশ করে দিয়েছেন। এর পিছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও মন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন। এ সব বিভিন্ন অভিযোগ মানতে নারাজ মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “রাজ্যে গৌতমবাবুদের সরকার। পুরসভার কাজ আটকাচ্ছেন তো তাঁরাই। এ পরিস্থিতির জন্য ওঁরাই দায়ী।”
অন্য দিকে পুরসভায় কাজকর্ম নিয়ে ফের পুর দফতরের নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। বাজেট পাস নিয়ে বিতর্কের জেরে রাজ্য পুর দফতর থেকে পুর কমিশনারকে ১৬ টি জরুরি কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৩০ জুন পর্যন্ত তার সময় সীমা পার হওয়ায় ফের নতুন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তিন মাস পর্যন্ত সেই মতো ২১ টি কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে পূজোর আগে রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ ব্যহত হবে বলেই কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের বোর্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পুর বোর্ড। মেয়র তৃণমূলের কাউন্সিলরদের-সহ সমস্ত মেয়র পারিষদ পদ খারিজ করে দেন। পরে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের মেয়র পারিষদ করা হয়। ৪৭ আসনের পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১৬ জন কাউন্সিলর দরকার। তৃণমূলে ওই কাউন্সিলর না থাকায় (দলত্যাগী কাউন্সিলর নান্টু পালকে ধরে তৃণমূলের ১৫ জন) অনাস্থা আনতে পারছেন না। ১৪ জন কাউন্সিলর নিয়ে সংখ্যালঘু কংগ্রেস। বামেদের একমাত্র ১৭ জন কাউন্সিলর রয়েছে। গৌতমবাবুর প্রশ্ন, “বামেরা অনাস্থা আনছে না। তারা কংগ্রেসকে সমর্থন করছে।” তাঁর দাবি, “সংখ্যালঘু এই বোর্ডের মেয়রের নৈতিককারণেই আস্থা ভোট চাওয়া উচিত।” বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “২১ দফা নির্দেশিকা দিয়ে পুর দফতর যে চিঠি পাঠিয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি করছি। কংগ্রেস, তৃণমূল এই ভাবে একে অন্যকে শিক্ষা দিতে গিয়ে শহরের মানুষকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন তারা। এতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।” বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সমস্যা না মিটলে তারা আন্দোলনে নামবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.