সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। শক্তিগড় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে তিমিরেই। আলাপ-আলোচনা যাই চলুক, কাজ না হওয়ায় এ বারও বর্ষায় দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন শিলিগুড়ির ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুর নির্বাচনে কংগ্রেস, তৃণমূল উভয়ের তরফেই এলাকার নিকাশির হাল ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। গত ৩ বছরেও সেই কাজ করতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ।
এলাকার নিকাশির হাল ফেরানোর জন্য বছর দুয়েক আগেই সমীক্ষা করে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। ওই কাজে অর্থ পেতে রাজ্য পুর দফতরে তা পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরিকল্পনাটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা সেখানেই আটকে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে জানানো হয় পুরসভার বাস্তুকাররা যে পরিকল্পনা করেছিলেন তাতে গলদ রয়েছে। দফতরের বাস্তুকাররা তাই নতুন করে সমীক্ষা করে কাজ করতে চান।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “অশোকনগর, নিউ মিলনপল্লি -সহ শক্তিগড়ের একটা বড় অংশে নিকাশি সমস্যা রয়েছে। আমরা সেই কাজ করতে চাই। কিছু দিন আগে পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে পুর দফতরের বাস্তুকাররা একটি সমীক্ষা করেছিলেন। তাতে নজরে এসেছে পুরসভার পরিকল্পনায় অনেক ভুলভ্রান্তি রয়েছে। সে কারণেই কাজ শুরু করা যায়নি। দফতরের তরফে আলাদা করে সমীক্ষা করে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।” কিন্তু এই বর্ষার আগে যে সেই কাজ সম্ভব নয় তা গৌতমবাবুও স্বীকার করেছেন। গৌতমবাবু জানান, বর্ষায় এলাকার যেখানে জল দাঁড়াবে তা যাতে দ্রুত বার করার ব্যবস্থা করা যায় সেই ব্যবস্থা হবে। সাময়িক সমস্যা মেটাতে কী করা যায় বাস্তুকারদের তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর, শক্তিগড়, নিউ মিলনপল্লি ওই এলাকা নিচু বলে বর্ষায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। নিকাশি প্রকল্প গড়ে একাংশের জল সাহু নদীতে এবং পশ্চিম অংশের জল মহানন্দা নদীতে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সে জন্য জলপাইমোড় বা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার নিচ দিয়ে জল বার করার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তার ধারে ধাকা নয়ানজুলি বিভিন্ন জায়গা বন্ধ করে যাতায়াতের রাস্তা গড়ে উঠেছে। ওই অংশের জল যাতে ঠিক মতো বার হতে পারে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।
পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, পুরসভার পরিকল্পনাটি ভুল রয়েছে বলে তাঁদের কেউ জানাননি। তিনি বলেন, “ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেওয়া যাবে। প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করে ওই কাজ করা পুরসভার পক্ষে সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে গৌতমবাবু ওই কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি তা করলে ভাল হয়।” বর্ষায় জমা জল বার করতে পুরসভার তরফে তারা ব্যবস্থা করবেন আশ্বাস দিয়েছেন। |