আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার দুই কর্মকর্তা তথা দম্পতিকে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করল সিআইডি। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ থানা এলাকা থেকে অচিন্ত্য মোহন্ত ও বেবি মোহন্ত নামে ওই দম্পতিকে ধরে এ রাজ্যের সিআইডি। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুরুলিয়ায় অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে আমানতকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি-র দাবি, অচিন্ত্যবাবুর বিরুদ্ধে পুরুলিয়া, রানিগঞ্জ, ধানবাদ-সহ বিভিন্ন থানায় মোট আটটি আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, ২০০৭ সালের শেষ দিকে পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানায় অফিস খুলে অর্থলগ্নির ব্যবসা শুরু করে ‘শ্রী সাঁই এমপাওয়ার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই সংস্থাটি। কম সময়ে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই কোটি টাকারও বেশি আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল সংস্থাটি। তার পরেই অফিস গুটিয়ে নেয় তারা। কিছু আমানতকারী তখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ ২০০৮ জুনে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।
অভিযুক্তেরা ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ায় তদন্তভার পায় পুরুলিয়ার ডিইবি-তে। ২০০৯ সালে তদন্তভার নেয় সিআইডি। পুরুলিয়ায় সিআইডির ডিডিআই সত্যব্রত দত্তর নেতৃত্বে একটি দল সম্প্রতি ওড়িশায় যায়। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই দম্পতির বাড়ি রানিগঞ্জ ও বর্ধমানে হলেও প্রতারণার পরে তারা কটক শহরে ফ্ল্যাট কিনে থাকতে শুরু করেছিলেন। ভুবনেশ্বরেও বাড়ি ছিল। শুক্রবার লিঙ্গরাজ থানা এলাকা থেকে তাদের ধরার পরে সিআইডি ভুবনেশ্বরের আদালত থেকে ধৃতদের ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ শনিবার রাতে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসে। রবিবার তাঁদের পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দশ দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা, সংস্থার মূল কর্তা এখনও অধরা। সিআইডি ধৃতদের জেরা করে প্রতরনা সংক্রান্ত নথি ও টাকার হদিস পেতে চাইছে। এ দিন আদালত চত্বরে ধৃতেরা অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। |