মাথায় নেতার হাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
সন্ধ্যা নেমে এসেছে। শাসক দলের সাংসদ, বিধায়ককে জঙ্গলের পথ পার করে দিতে পারলে বাঁচেন কনভয়ের পুলিশ কর্মীরা। হঠাৎ রাস্তার বাঁকে একটা লোককে বিরাট পতাকা নাড়তে দেখে চমকে ওঠেন তাঁরা। পরপর দাঁড়িয়ে যায় কনভয়, সাংসদ-বিধায়কের গাড়ি। পুলিশ কর্মীরা বলে ওঠেন, “লোকটার হাতে যে তৃণমূলের পতাকা! এ তো তৃণমূল কর্মী।” |
গাড়ি থেকে নেমে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ। অরূপবাবু কর্মীটির সঙ্গে হাত মেলান, সুব্রতবাবু তাঁর মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দেন। রবিবার সন্ধ্যায় সারেঙ্গার মিশন ময়দানের সভা সেরে ফেরার পথে পিড়রগাড়ি মোড়ের এই কাণ্ড বাঁধিয়ে খুশি দলের পতাকাবাহী কর্মী শৈলেন গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “মাথায় নেতার হাত পড়ল! আর কে থামায়।”
|
মডেল আমেরিকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাশীপুর |
হলই বা পঞ্চায়েতে ভোট। স্থান হোক না পুরুলিয়ার কাশীপুর। মাস দেড়েক আমেরিকায় কাটিয়ে ফেরা অভিনেতা তথা তৃণমূলনের বিধায়ক চিরঞ্জিতের বক্তৃতায় শনিবার বার বার আমেরিকাবাসীর জীবনযাত্রার কথা শুনলেন জনতা। তিনি এও বললেন, “ওরা ভাবে নিত্যনতুন বিনোদনের কথা। আর আমরা? শুধু বাঁচার জন্য ভাবতে হয়। ওদের মতো আমাদের থাকতে হবে। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তা পারেন।” জনতার মধ্যে একজন বলেই ফেললেন, কলকাতাকে লন্ডন, দার্জিলিংকে সুইজারল্যান্ড করা হবে শুনেছি। এ বার কি তবে পুরুলিয়াকে আমেরিকা করা হবে?”
|
ভুট ভুট ভুট ...
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
হুড়ার মধুবনে তৃণমূলের বাইক মিছিল। ছবি: প্রদীপ মাহাতো। |
ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাবই যাই হোক না কেন, দোরগোড়ায় ভোট দেখে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রচারের শেষ রবিবার গ্রামে-গঞ্জে কেবলই দলের কর্মীরা মোটরবাইকে ঝান্ডা লাগিয়ে মিছিল করলেন। খাতড়া শহর ছুঁয়ে তৃণমূলের বিশাল বাইকবাহিনী খড়বোন, সুপুর, বৈদ্যনাথপুর, ধানাড়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পরিক্রমা করে। হুড়ার বিভিন্ন গ্রামেও তৃণমূলের বাইক মিছিল বের হয়। |