|
|
|
|
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ, আহত প্রার্থী-সহ সাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
তৃণমূল-সিপিএমের সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হলেন তৃণমূলের প্রার্থী-সহ দু’পক্ষের সাত জন। তিনটি বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার বালিয়াডাঙা গ্রামে। গুরুতর আহত তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মণ্ডল এবং তার আত্মীয় বিশ্বজিত মণ্ডলকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। হাসনাবাদের পাটলিখানপুর পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙা গ্রামে তেমনই একটি কার্যালয়ে সঙ্গীদের সঙ্গে বসে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মণ্ডল। গোপালবাবুর অভিযোগ, রাত ১১টা প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএম প্রার্থী শান্তিগোপাল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন বিনা প্ররোচনায় তাঁদের উপরে দা-বল্লম এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। আহত হন গোপালবাবু-সহ বেশ কয়েক জন। অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে সিপিএম। |
|
বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে আহত তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মণ্ডল।—নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএমের দাবি, প্রচার সেরে ফেরার পর সিপিএমের প্রফুল্ল মণ্ডল নামে একজনের দায়িত্ব ছিল, তৃণমূলীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি সেই আবদার রক্ষা করতে না পারায় তৃণমূলীরা ক্ষেপে উঠে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের বাড়িতেও। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে বাহিনী নিয়ে যান হাসনাবাদের ওসি। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
সিপিএমের হাসনাবাদ লোকাল কমিটির সম্পাদক তুলসি সরকার বলেন, “সিপিএমের প্রফুল্ল মণ্ডল খাওয়ার আবদার রক্ষা করতে না পারায় আমাদের তিনজনের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল। আমাদের দলের কর্মীদেরও মারধর করে। এই ঘটনায় আমাদের দলের কয়েকজন আহতও হয়। এখন নিজেদের অন্যায় ঢাকতে কেবল হাসপাতালে ভর্তিই নয়, আমাদের প্রার্থী-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগও করেছে তৃণমূল।” অন্য দিকে, তৃণমূলের হাসনাবাদ (দক্ষিণ) ব্লক সভাপতি হানিফ আলি গাজি বলেন, “দলীয় কার্যালয়ে বসে আলোচনার সময়ে সিপিএম প্রার্থীর নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের প্রার্থীর উপরে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময়ে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|