প্রতি বছরের মতো এ বছরও হবিবপুর ইস্কনের রথ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। আগামী বুধবার রথযাত্রা। আর সেই দিনই রাধামাধব মন্দির থেকে ৪০ ফুট উচ্চতার জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিন কিলোমিটার দূরে স্বাস্থোন্নতি ময়দানে মাসির বাড়িতে যাবে। সেই জন্যই জোর কদমে চলছে রথ সাজানো, মন্দির সাজানো, মণ্ডপ তৈরির কাজ।
মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ১৭ বছর ধরে চলছে এই রথ উত্সব। রথযাত্রার দিন মাসির বাড়ি যাবে কৃষ্ণ-বলরাম-সুভদ্রা। সেখানে থাকবে ৯ দিন। তারপর আবার রথে চেপে ফেরত আসবে বাড়িতে। মাসির বাড়িতে থাকার সময়ে স্বাস্থোন্নতি ময়দানে মেলা বসে। আর এই মেলাকে ঘিরে সেজে ওঠে এলাকাও। বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, মনোরঞ্জনের বিভিন্ন উপকরণ ছাড়াও থাকে খাবারের নানা স্টল।
রাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ বৃহত্ কীর্তন দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “মাসির বাড়ি থাকার সময় প্রতিদিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে খিচুড়ি, তরকারি, নানা রকমের ভাজা, পায়েস-সহ ৫৬ রকমের পদ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। ভক্তরা নাম কীর্তন সহযোগে যোগ দেন।”
হিন্দু-মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক গণ্ডি পেরিয়ে এক মিলন উত্সবে পরিণত হয়েছে। রানাঘাটের আইনজীবী শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইস্কনের এই রথ উত্সব দেখতে বহু মানুষ আসেন।” একই সুর রানাঘাটের নাসড়াপাড়ার বাসিন্দা নৌশাদ আলিরও। তিনি বলেন, “কোনও সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ নেই। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ এই উত্সবে যোগ দেন। সেজে ওঠে সারা এলাকা।’’ তোড়জোড় চলছে পটুয়াপাড়াতেও। মৃত্ শিল্পী গৌর পাল বলেন, মডেল তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি এই মডেলগুলোর মাধ্যমেই ফুটে উঠবে।” সামনেই উত্সব। বসে থাকার জো নেই। দ্রুত হাত চলছে তাঁদেরও। |