ভোট প্রচারে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের টাকা দিচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা-এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। রবিবার খড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নিনুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় অভিযুক্ত কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী জগন্নাথ সিংহ ও দলীয় নেতা অচিন্ত্য দে-কে পুলিশ আটক করেছে। এলাকার তৃণমূলের প্রার্থী ধরণীধর ঘোষ বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রচারে গিয়ে জগন্নাথবাবু-সহ চারজন টাকা দিয়ে ভোট কিনছিলেন। আমাদের সমর্থকরা তা দেখতে পেয়ে জানায়। আমি গিয়ে ওই একই ঘটনা দেখেছি। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে।” অবশ্য তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি, খড়গ্রাম এক সময় সিপিএমের দখলে ছিল। এখন তা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তৃণমূল আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে কুত্সা রটাচ্ছে। কংগ্রেসের খড়গ্রাম ব্লক সভাপতি তথা এলাকার বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দলের নামে কুত্সা ছড়াচ্ছে।” খড়গ্রামের বিডিও রবিউল ইসলাম বলেন, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।” কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
|
এলাকার আটজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেকে নাকাশিপাড়া নির্মল হৃদয় সমিতিতে নিয়ে গেলেন সংস্থার সম্পাদক মোসলেম মুন্সী। সম্প্রতি করিমপুর বাসস্ট্যান্ড, ফার্মের মোড়, গড়াইমারি এলাকা থেকে ছয় জনকে এবং তেহট্টের বেতাই ও বার্ণিয়া এলাকা থেকে আরও দুজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন। মোসলেম মুন্সী বলেন, “এইসব মানুষদের নিয়েই আমার ঘর সংসার। ভাল ব্যবহার ও খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি ওদের চিকিত্সারও দরকার। সেটা এখানে সম্ভব নয়। তাই তেহট্টের মহকুমাশাসক ও স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওদের এনেছি।’’ করিমপুরে এই মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের আসা-যাওয়া। যখন ওঁদের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মোসলেম মুন্সীকে। বিষয়টি জানতে পেরে কেউ বাধা দেননি। করিমপুরের শিবেন সাহা বলেন, ‘‘ওরা যদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পরে তার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?’’ তেহট্টের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মোসলেম মুন্সীর এমন কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়।’’
|
রাইফেলের নল গলায় ঠেকিয়ে আত্মঘাতী হলেন বিএসএফের এক জওয়ান। মৃতের নাম সূর্যকান্ত দাস (২৫)। বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার আলিপুরদুয়ারে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার গিরিধারীপুর ক্যাম্পে। ১৫১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ওই ক্যাম্পের হেড কনস্টেবল ছিলেন সূর্যকান্ত। পুলিশ জানায়, ৮-৯ মাস আগে সূর্যকান্ত গিরিধারীপুর ক্যাম্পে বদলি হয়ে আসেন। ঘটনার আধ ঘন্টা আগেও ওই জওয়ান বাড়িতে ফোন করে কথা বলেন। তার পরেই ক্যাম্পের মধ্যে নিজের এসএলআর রাইফেলের নল গলায় ঠেকিয়ে আত্মঘাতী হন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ, মুর্শিদাবাদ) মৃণাল মজুমদার বলেন, “খবর পেয়ে রানিতলা থানার পুলিশ ওই জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে রবিবার ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ।”
|
এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃত বীথিকা সূত্রধর (২২) মুরুটিয়ার মাঠপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ওই মহিলাকে বাড়ির পিছনে একটি গাছে গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো আর সম্ভবপর হয়নি। রবিবার মৃতার বাবা বীরেন্দ্রনাথ ভাস্কর মুরুটিয়া থানায় জামাই-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
প্রচার সেরে ফেরার পথে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিরার চাপড়ার এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। |