লালগড় |
মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই আটক যুব তৃণমূলের নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগের দিন লালগড়ের এক যুব তৃণমূল নেতাকে আটক করল পুলিশ। শ্যামল মাহাতো নামে ওই যুবকের বাড়ি লালগড়ের বীরকাঁড় গ্রামে। তিনি যুব-তৃণমূলের লালগড় অঞ্চল সভাপতি। পুলিশ সূত্রের খবর, সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্যের ভিত্তিতে শ্যামলকে রবিবার মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে সেই ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ কী তা খোলসা করেনি পুলিশ। রাত পর্যন্ত শ্যামলকে ছাড়াও হয়নি।
জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতা শ্যামল বছর তিনেক আগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাস তিনেক পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে বিধানসভা ভোটের পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। জনগণের কমিটির আন্দোলন পর্বে কমিটি-নেতা ছত্রধর মাহাতোর ছায়াসঙ্গী ছিলেন শ্যামল। |
|
আজ সভা। রবিবার রাতে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
সোমবার লালগড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তারই প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার লালগড়ে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে দফায় দফায় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি বৈঠক হচ্ছিল। শ্যামলও দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন। দলীয় কর্মীদের জন্য দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুপুরের খাওয়া সেরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্যামল। ওই সময় লালগড় থানার পুলিশ তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেদিনীপুরের এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় তুমুল অস্বস্তিতে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই দলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েক জন নেতা-কর্মী মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বনবিহারীবাবু বলেন, “শ্যামলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন শ্যামলকে পুলিশ আটক করে জেরা করছে সেই কারণটি আমার অজানা। এ দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে গিয়ে মুকুলবাবুকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, সোমবার শ্যামলকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
লালগড়ের সিপিএম নেতা তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, ‘দিনে তৃণমূল, রাতে মাওবাদী’। এই ঘটনায় সেটা আর এক বার প্রমাণ হয়ে গেল।” পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী অবশ্য ফোন ধরেননি। |
|