তিনি তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তবু একটা কীর্তি অধরা ছিল সেবাস্তিয়ান ভেটেলের। স্বদেশে রেস জেতা। রবিবারের নুরবারগ্রিং সার্কিটে সেই অভাব পুষিয়ে নিলেন জার্মান তারকা। নাটকীয় কাণ্ডকারখানায় ভরা রক্তচাপ বাড়ানো জার্মান গ্রাঁ প্রি জিতে। যে জয়ে একেবারে শেষ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত তাঁর ঘাঁড়ে নিঃশ্বাস ফেলে গেলেন দ্বিতীয় হওয়া কিমি রাইকোনেন। ভেটেলও মানছেন, একটুর জন্য জিতেছেন। বলেছেন, “দে গেভ মি অ্যা রান ফর মাই মানি!” তৃতীয় হলেন কিমির টিমমেট রোমেন গ্রসজঁ।
ষাট ল্যাপের রেসে পঞ্চাশ ল্যাপ পর্যন্ত একে থাকা কিমি আর লোটাসের পক্ষে অবশ্য স্ট্র্যাটেজির প্যাঁচে ভেটেলের কাছে হারাটা মেনে নেওয়া সহজ হবে না। ঠিক যেমন জার্মানি রেস থেকে শূন্য হাতে ফেরায় কিছুটা মুষড়ে থাকবে সহারা ফোর্স ইন্ডিয়া। ভারতীয় দল যোগ্যতা পর্বে গাড়ির যান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং চাকার ভারসাম্য গড়তে হিমশিম খেয়েছিল। সমস্যাগুলো রেসেও থেকে যাওয়ায় পল ডি রেস্টা এগারো এবং আদ্রিয়ান সুটিল তেরোতম স্থানে শেষ করলেন। |
শুরুতেই পোল পাওয়া লুইস হ্যামিল্টনকে টপকে যান ভেটেল। কিন্তু তৃতীয় ল্যাপে ফিলিপে মাসার ফেরারি বিগড়ে যাওয়ার পর থেকে রেসের নেতৃত্ব বেশ কয়েক বার হাতবদল হল। ভেটেল পিট করায় নেতৃত্ব যায় তাঁর টিমমেট, মার্ক ওয়েবারের কাছে। কিন্তু এর কিছু পরেই ওয়েবারের গাড়ি পিট লেন থেকে বেরনোর সময় সদ্য লাগানো চাকা খুলে ছিটকে গিয়ে লাগে এক ক্যামেরাম্যানের গায়ে। এক দিকে, ওয়েবার পিছিয়ে পড়েন প্রায় এক ল্যাপ। অন্য দিকে, ক্যামেরাম্যানের কাঁধের হাড় ও কয়েকটি পাঁজর ভেঙেছে বলে জানা যায়। এই নিয়ে চর্চার মাঝেই চব্বিশ ল্যাপে ফের বিপত্তি। আগুন লাগে মরিসিয়ার জুলস বিয়াঞ্চির গাড়িতে। বিয়াঞ্চি নিরাপদে বেরিয়ে গেলেও চালকবিহীন গাড়ি আচমকা গড়াতে শুরু করে। যা নিয়ে নতুন চুটকি চালু হয়েছে‘ড্রাইভার বিহীন গাড়ির টেকনোলজি!’ সেই সময় নেতৃত্বে ছিলেন গ্রসজঁ। তাঁর পিছনে ভেটেল ও কিমি। কিন্তু সেফটি কার সরে রেস শুরুর হতেই ভেটেল এগিয়ে যান। তবে পরের পিট স্টপেই জার্মানকে টপকে কিমি চলে আসেন একে। তবে কিমি আবার পিট করতে বাধ্য হওয়ায় রেসটা শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন ভেটেল।
অন্য দিকে, প্রথম তিনে না থেকেও নজর কাড়লেন চতুর্থ আলোনসো, চাকা সমস্যা কাটিয়ে উঠে পাঁচে শেষ করা হ্যামিল্টন আর পুরো এক ল্যাপ পিছিয়ে পড়েও সপ্তম হওয়া ওয়েবার। |