|
|
|
|
অরবিন্দ স্টেডিয়াম |
তৈরি হল নতুন পিচ, টার্ফ নিয়ে গড়িমসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে নতুন কংক্রিটের পিচ তৈরি হল। এ বার থেকে এই পিচে খুদে ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করতে পারবে। পাশে আরও একটি টার্ফের পিচের কাজ চলছে। দ্রুত সেই কাজও শেষ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ বসু বলেন, “আইপিএলের লভ্যাংশ থেকে জেলাকে কিছু অর্থ সাহায্য করেছিল সিএবি। সিএবির বরাদ্দ অর্থে নতুন কংক্রিটের পিচ তৈরি হয়েছে। টার্ফের পিচের কাজও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।”
আগে থেকে অরবিন্দ স্টেডিয়ামের মাঠে একটি টার্ফের পিচ রয়েছে। আগে এখানেই কংক্রিটের পিচ ছিল। ক’বছর আগে টার্ফের পিচ তৈরি করা হয়। বছরভর স্টেডিয়ামে নানা খেলাধুলো হয়। এতে পিচের ক্ষতি হয়। ফলে, ক্রিকেটাররা সমস্যায় পড়েন। তাছাড়া, মাঠে অন্য খেলাধুলো চলে, তখন আর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করা যেত না। সমস্যার সমাধানে নতুন দু’টি পিচ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে অন্য খেলা চললেও ক্রিকেট প্র্যাকটিসে অসুবিধে হবে না। কারণ, যেখানে পিচ তৈরি হয়েছে, সেটি স্টেডিয়াম ক্যাম্পাস হলেও মাঠের বাইরে। পরবর্তীকালে এখানে আলোর বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্মকর্তাদের। সে ক্ষেত্রে রাতে প্র্যাকটিস করা যাবে। মেদিনীপুরে মাঝেমধ্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির হয়। ক্রিকেট প্রতিভা অন্বেষণে সিএবি প্রশিক্ষণ শিবির করে। গত বছর আইপিএলের লভ্যাংশ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিল সিএবি। জানানো হয়েছিল, বরাদ্দ অর্থ ক্রিকেটের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করতে হবে। সেই মতো নতুন দু’টি পিচ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
এর ফলে, খুদে ক্রিকেটারদের সুবিধে হবে বলেই মানছেন ক্রিকেট কোচ সুশীল শিকারিয়া। তাঁর কথায়, “প্র্যাকটিসের জন্য পিচ থাকা জরুরি। এর ফলে সারা বছর প্র্যাকটিস করার সুযোগ থাকবে। জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো থাকা উচিত। না হলে সমস্যা হবেই।” যদিও পিচের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর নভেম্বরে। আর শুধুমাত্র কংক্রিটের পিচের কাজ শেষ হল জুলাইয়ে। টার্ফের কাজ কবে শেষ হবে, তা জানা নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির এক সদস্য মানছেন, “দ্রুত কাজ শেষ করা জরুরি। এতদিন সময় লাগার কথা নয়।” তাহলে? তাঁর যুক্তি, “টার্ফের পিচের নীচে ৪টি স্তর থাকে। এটি তৈরি করতে সময় লাগে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|