|
|
|
|
ক্রেনে পিষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, দেহ আটকে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
উঁচুতে উঠে কাজ করার সময় ক্রেনে পিষ্ট হয়ে এক ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল হুগলির হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি কারখানায়। মৃতের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং এক জনের চাকরির দাবিতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান সহকর্মীরা। শেষে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুধাংশু মণ্ডল (৩৮)। স্ত্রী এবং ছোট দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই ‘টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেড’ নামে ওই কারখানায় যাতায়াত করতেন। কারখানায় লোকাল ট্রেনের কামরা এবং মালগাড়ির ওয়াগন তৈরি হয়। বছর পাঁচেক ধরে কারখানার মেনটেন্যান্স বিভাগে মোটর সারাইয়ের কাজ করতেন সুধাংশু।
এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ একটি মোটর নামানোর কাজ করার সময় উল্টো দিক থেকে একটি ক্রেন এসে তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ আসে। দেহ উদ্ধার করতে বাধা পায়। শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই সুধাংশুর মৃত্যু হয়। সেফটি-বেল্ট এবং হেলমেট ছাড়াই তাঁকে উঁচুতে উঠতে হয়েছিল। এ ছাড়াও কারখানার নানা অব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা সরব হন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং এক জনকে কারখানায় চাকরির লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি। কারখানার পার্সোনেল ম্যানেজার তাপসকুমার দেবের দাবি, “পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল। সব শ্রমিককেই হেলমেট দেওয়া হয়। কেউ না পরলে আমরা কী করব? ওই শ্রমিক লোহার পাটাতনে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। তাই সেফটি-বেল্ট প্রয়োজন ছিল না।” |
|
|
|
|
|